আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদে শোকার্ত খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলশান কার্যালয়ে এসেও দেখা করতে পারেননি। রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে আসার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, কোকোর মৃত্যুর সংবাদে বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পরেছেন। তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ হলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে, তখন তিনি আসবেন।

সন্ধ্যা ৭টার পর প্রধানন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয় তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে স্বান্ত্বনা জানাতে রাত ৮টায় গুলশান কার্যালয়ে যাবেন। এমন সিদ্ধান্তের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের চিত্রও পাল্টে যায়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা এসএসএফসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। আগে থেকে ভিড় জমানো নেতা-কর্মীদের জটলা সরিয়ে দেয়া হয়। ৮টা ৩৫ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে আসেন শেখ হাসিনা। কিন্তু কার্যালয়ের গেট বন্ধ থাকায় এবং অসুস্থতার কথা জানানোয় মিনিট তিনেক দাঁড়িয়ে তিনি ফিরে যান। বিএনপির এই আচরণ ভদ্রজনোচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন মা হিসেবে আরেকজন মাকে স্বান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের গেট বন্ধ রাখা হয়। কোনো নেতাও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেননি। বিএনপির এ আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন মা হিসেবে আরেকজন মাকে স্বান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন, কিন্তু খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের গেট বন্ধ রাখা হয়। কোনো নেতাও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেননি। বিএনপির এ আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়েছে।
☼ প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত এখনই নয়
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেয়ায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন।এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সাক্ষাৎ আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস।আজ শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনিতিনি জানান, ঘুম থেকে জাগার পর খালেদা জিয়ার সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে।
Post a Comment