অদ্ভুতুড়ে 4:02 AM 1 comments

(Aafia Siddiqui)আফিয়া সিদ্দিক (রহঃ) আর নেই।

Aafia Siddiqui
Aafia Siddiqui
 সম্প্রতি আফিয়া সিদ্দিকি আমাদের মাঝ থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহির রজিউন)। অনেক কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও বলতে হয় উনি মরে গিয়ে বরং বেঁচেই গেলেন। বিশ্বে তাঁর সময়কার অন্যতম নিউরো সাইন্টিস্ট ছিলেন এই ড. আফিয়া সিদ্দিকি(রহঃ)। আফিয়া বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যথা University of Houston-এখানে তিনটি সেমিস্টার সম্পন্ন করার পর full scholarship পেয়ে MIT (Massachusetts Institute of Technology)তে তাঁর পড়াশুনা শেষ করেন। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন একজন কোরআন-এ হাফিজা অর্থাৎ পুরো কোরআন তাঁর হৃদয়ে ছিল। তিনি ছিল জন্মসূত্রে পাকিস্তানি নাগরিক হয়তো এই জিনিসটিই তাঁর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

২০০৩ সালে তিনি প্রথমে কিডন্যাপ হয় অবশ্য দুঃখয়ের বিষয় এই যে, তাঁর এই কিডন্যাপের পিছনে জড়িত ছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পারভেজ মোশাররফের সরকার। গুম করে রাখা হয় তাঁকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। আর এই পাঁচটি বছর তাঁর উপর করা হয়  অমানবিক নির্যাতন যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এদের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট  ঘটনাটি হলো  তাকে উলঙ্গ করে কুরআন শরীফের পাতা ছিড়ে মেঝেতে বিছিয়ে রেখে বলা হত, যাও, কুরআনের উপর দিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে এসো। ড. আফিয়া সেটি করতে পারতেন না কারণ, তিনি মুসলমান। কারণ তিনি কুরআন ভালবাসতেন। ৩০ পারা কুরআন যে তার বুকেও ছিল। তিনি যে একজন হাফেজাও ছিল। তখন তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেত আরো।

অবশেষে  তাঁর নামে কোন প্রমাণ না পেয়ে ২০০৮ সালে সাজানো হয় মূল নাটক যথা এক আমেরিকান সেনাকে হত্যার চেষ্টার দায়ে তাঁকে গ্রেফতারর দেখান হয়। অবশেষে তাঁকে দেয়া হয় ৮৬ বছরের সাজার ঘোষণা। ধারাবাহিকভাবে তাঁর সাথে চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন। তাঁর রায়ের সময় বিচারক তাঁকে কিছু বলতে বললে আফিয়া (রহঃ) বলেন, “আপনি তাদের ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে রেপ করার, উলঙ্গ করে সার্চ করার! আপনার কাছে কিছুই বলবার নেই আমার। আমি আমার আল্লাহর কাছে যেয়েই যা বলার বলবো। আমি তো সেদিনই মরে গেছি যেদিন আমাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয়েছিলো। আমাকে ছেড়ে দিন। আমাকে আমার দেশে যেতে দিন।”

অবশেষে চলে গেলেন আফিয়া সিদ্দিকি (রহঃ) না ফেরার দেশে । তিনি আসলে যাননি তিনি মুক্তি পেয়েছেন এই অমানবিক নির্যাতন থেকে। বড় আশ্চর্য হই যখন মালাল নামের আরেক পাকিস্তানি বংশভূত আরেক নারিকে আল কায়েদা বা তালেবানরা গুলি করে আর রাতা রাতি সে হয়ে যায় বিশ্ব মহিলাদের জন্য  মডেল স্বরূপ। অথচ মালালা একজন স্কুল পরুয়া মাত্র তাকে ইতিমধ্যে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার। আমি মালালার উপর আক্রমনকে Support করছি না আমি অবশ্যই তাদের সাজা চাই এমনকি মৃত্যুদণ্ড ও। কিন্তু একই দেশের নাগরিক অথচ আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত তাহলেতো মনে হতেই পারে সত্যি কি মালালা পাকিস্তানের নাগরিক বা যারা তাঁকে গুলি করলো সত্যি কি তাঁরা আল কায়দা  বা তালেবান  না ছদ্মবেশী অ্যামেরিকান এজেন্ড। তবে কেন এই "Double Standard"!

হে এসবের শুধু একটি উত্তর রয়েছে তাহলো তিনি ছিলেন আমাদের প্রকৃত মহিলা সাহাবীদের অনুসারি তিনি একদিকে যেমন ছিলেন আল-কোরআনের হাফিজা ঠিক অন্যদিকে ছিলেন চরম মেধাবী তিনি তাঁর প্রত্যেক বক্তব্যে দিতেন আল-কোরানের ও সহীহ হাদিসের রেফারেন্স। নিম্নে  তাঁর একটি ভিডিও ক্লিপ দিলাম  যেখান আপনি বিবেচনা করবেন এমন মানষ কি সত্যি হিংস্র হতে পারে? 


আমরা মুসলিম আর তাই এমন হৃদয় নিংড়ানো ঘটনায় অবশ্যই আমাদের বিবেগকে নাড়া দিবে যদি না দিয়ে থাকে তাহলে মনে করবেন আমরা হয়তো ইমানদার হয়েছি কিনতু মুসলিম এখনও হতে পারিনি। তাই আসুন ভাই ও বোনেরা ইসলামকে নিয়ে পড়ি ও জানি এমন নিজেকে একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলি। নিম্ন ড. আফিয়া সিদ্দিকি (রহঃ) কে তিনি অ্যামেরিকান মুসলিমদের করা একটি টক শো আসুন দেখি এখানে উনার সম্পর্কে বিস্তারিত  জানতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
আশা করি আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবো, আমীন।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.