রোপড এলিভেটরঃ
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে দড়ির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে । সবার উপরে থাকা একটি কক্ষ থেকে এলিভেটরটি নিয়ন্ত্রিত হয় । একটি মোটরের এবং সাথে একটি চাকা সংযুক্ত থাকে এই কক্ষে । এই চাকাকে বলা হয় Sheave । এই চাকার গায়ে দড়ি বসানোর জন্য খাজ কাটা জায়গা করা থাকে । দড়িও আবার কোন সাধারন দড়ি না । কয়েকটি স্টিলের দড়ি একটি আরেকটির সাথে পেঁচিয়ে একটি দড়ি তৈরি করা হয় । এদের
ভারবহন ক্ষমতা এতটাই বেশি যে একটি দড়িই পুরো এলিভেটর এর জন্য যথেষ্ট । কিন্তু তার পরও নিরাপত্তার কারনে ৪-৮টি দড়ি ব্যবহার হয় ।
এ দড়ির একপ্রান্ত যুক্ত থাকে এলিভেটর কারের উপর দিকের সাথে, আরেকপ্রান্ত যুক্ত থাকে একটি কাউন্টারওয়েটের সাথে । কাউন্টারওয়েটকেই বলা যায় রোপড এলিভেটরের যান্ত্রিক অংশের সবচেয়ে চমৎকার দিক ।
আমরা seesaw বা ঢেঁকি তো চিনি । যেখানে দু’জন দুইপ্রান্তে বসে এবং তারা যদি সমান ওজনের হয় তাহলে আমরা বলতে পারি যে seesaw সাম্যাবস্থায় আছে । এখন যে কোন এক পাশে বল প্রয়োগ করলে এটি ঝুঁকে যাবে বা দুলতে শুরু করবে । কিন্তু যদি অন্যপাশে কেউ না থাকতো তবে তাহলে অন্য পাশকে নিচে নামাতে অনেক বেশি বল প্রয়োগ করতে হত ।
কাউন্টারওয়েটের ঠিক এভাবেই কাজ করে । কাউন্টারওয়েটে যে ভার ঝুলিয়ে দেয়া হয় দড়ির বিপরীত প্রান্ত থেকে তার ওজন হয় এলিভেটরের রেটেড ওয়েট (এলিভেটরের নিজের ওজন যতজন যাত্রী ধারণ করা সম্ভব তাদের ওজন) এর ৪০-৫০% । অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, এলিভেটরে সর্বোচ্চ যতটুকু ওজনের যাত্রী বহন করার ক্ষমতা আছে তার ৪০-৫০% ওজনের যাত্রী উঠলেই কাউন্টারওয়েট আর এলিভেটর কারের ওজন সমান হয়ে যাবে । সুতরাং seesaw এর উদাহরন অনুযায়ী আমরা এখন বলতে পারি যে অল্প বল প্রয়োগ করেই এলিভেটরকে এখন ওঠানো বা নামানো যাবে । এর মাধ্যমে কিন্ত অনেক বড় একটি ব্যাপার কিন্তু ঘটে গেল । যে মোটর এলিভেটরের Sheave-কে ঘোরাবে , তাকে আর এত বেশি শক্তি দিতে হবে না ।
দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে উপর থেকে কিছু নামাতে থাকলে তা নিশ্চয়ই দুলবে । কিন্তু এলিভেটর যে পথ বরাবর নামে সেখানে নামার জন্য বিশেষ ধরণের গাইডওয়ে থাকে (অনেকটা রেলগাড়ি চলার রেললাইন এর মত) ।
এলিভেটর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ধারণ করার জন্য এলিভেটরে থাকে একটা কন্ট্রোল সিস্টেম । এর কাজ হচ্ছে এলিভেটরে লোড সেন্সর থাকে । ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ওজন হয়ে গেলেই তা বিপ বিপ আওয়াজ করে । কন্ট্রোল সিস্টেমের কাজের মধ্যে রয়েছেঃ
১. এলিভেটরের বর্তমান অবস্থান নির্ণয়
২. যাত্রী কোথায় যেতে চান তা নির্ণয়
৩. ফ্লোরের অবস্থান জানা নির্ণয়
লাইট সেন্সর ব্যবহার করে এলিভেটরের বর্তমান অবস্থান জানা হয় । যাত্রী কোথায় যেতে চান তা এলিভেটরের কারে থাকা সুইচ চেপেই কন্ট্রোল সিস্টেমকে জানান হয় । বিভিন্ন ফ্লোরগুলোর অবস্থানও কন্ট্রোল সিস্টেমে দেওয়া থাকে । যাত্রীর চাহিদা জেনে কন্ট্রোল সিস্টেমই মোটরকে প্রয়োজনীয় পরিমানে ঘুরায় ও থামায় ।
এছাড়াও Governor বলে আরেকটা সিস্টেমের কথা বলে শেষ করছি । ধরা যাক কোন কারণে সবগুলো দড়িই ছিঁড়ে গেল । তখন কি হবে?
Governor আরেকটি Sheave এবং দড়ি থাকে । এই দড়ির অপর প্রান্ত একদম নিচে আরেকটি governor এর sheave এর সাথে যুক্ত থাকে এবং দড়িটি একই সাথে এলিভেটর কারের সাথেও যুক্ত থাকে । এর ফলে যখন এলিভেটর কার উপরে ওঠে বা নিচে নামে তখন governor এর sheave-ও ঘোরে । এতে দুটো ফ্লাইওয়েট (ধাতব বাহু) থাকে যারা প্রত্যেকে একটি করে পিনের মাধ্যমে যুক্ত । এই ফ্লাইওয়েট আবার দুটো লিঙ্ক রডের মাধ্যমে যুক্ত, সংযোগস্থলে স্প্রিংও থাকে। যখন governor এর sheave ঘুরে, এই ফ্লাইওয়েটও ঘুরতে থাকে । কিন্তু যদি মোটরের sheave এর সাথে সংযুক্ত সবগুলো দড়ি ছিড়ে যায় এবং এলিভেটর দ্রুত নিচের দিকে পড়তে থাকে তাহলে governor এর sheave এর ঘোরার বেগ অনেক বেড়ে যায় ।
বেগ বেড়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে কেন্দ্রবিমুখী বল বেড়ে যাওয়া । এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কেন্দ্রবিমুখী বল ফ্লাইওয়েটদুটোকে বাইরের দিকে ছুড়ে দেয় । স্প্রিং তখন সংকুচিত হয়ে যায়। বাইরে একটা স্থির অংশ থাকে যাকে র্যাচেট বলে । Sheave ঘুরুক আর না ঘুরুক এটা সবসময়ই স্থির থাকে । তাই ফ্লাইওয়েট যখন বাইরের দিকে ছিটকে যায়, এই র্যাচেট তাকে আটকে ফেলে এবং এলিভেটরও আটকে যায় । তাই বলা যায় যে রোপড এলিভেটরে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আসলে খুবই কম ।
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে দড়ির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আছে । সবার উপরে থাকা একটি কক্ষ থেকে এলিভেটরটি নিয়ন্ত্রিত হয় । একটি মোটরের এবং সাথে একটি চাকা সংযুক্ত থাকে এই কক্ষে । এই চাকাকে বলা হয় Sheave । এই চাকার গায়ে দড়ি বসানোর জন্য খাজ কাটা জায়গা করা থাকে । দড়িও আবার কোন সাধারন দড়ি না । কয়েকটি স্টিলের দড়ি একটি আরেকটির সাথে পেঁচিয়ে একটি দড়ি তৈরি করা হয় । এদের
ভারবহন ক্ষমতা এতটাই বেশি যে একটি দড়িই পুরো এলিভেটর এর জন্য যথেষ্ট । কিন্তু তার পরও নিরাপত্তার কারনে ৪-৮টি দড়ি ব্যবহার হয় ।

আমরা seesaw বা ঢেঁকি তো চিনি । যেখানে দু’জন দুইপ্রান্তে বসে এবং তারা যদি সমান ওজনের হয় তাহলে আমরা বলতে পারি যে seesaw সাম্যাবস্থায় আছে । এখন যে কোন এক পাশে বল প্রয়োগ করলে এটি ঝুঁকে যাবে বা দুলতে শুরু করবে । কিন্তু যদি অন্যপাশে কেউ না থাকতো তবে তাহলে অন্য পাশকে নিচে নামাতে অনেক বেশি বল প্রয়োগ করতে হত ।
কাউন্টারওয়েটের ঠিক এভাবেই কাজ করে । কাউন্টারওয়েটে যে ভার ঝুলিয়ে দেয়া হয় দড়ির বিপরীত প্রান্ত থেকে তার ওজন হয় এলিভেটরের রেটেড ওয়েট (এলিভেটরের নিজের ওজন যতজন যাত্রী ধারণ করা সম্ভব তাদের ওজন) এর ৪০-৫০% । অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, এলিভেটরে সর্বোচ্চ যতটুকু ওজনের যাত্রী বহন করার ক্ষমতা আছে তার ৪০-৫০% ওজনের যাত্রী উঠলেই কাউন্টারওয়েট আর এলিভেটর কারের ওজন সমান হয়ে যাবে । সুতরাং seesaw এর উদাহরন অনুযায়ী আমরা এখন বলতে পারি যে অল্প বল প্রয়োগ করেই এলিভেটরকে এখন ওঠানো বা নামানো যাবে । এর মাধ্যমে কিন্ত অনেক বড় একটি ব্যাপার কিন্তু ঘটে গেল । যে মোটর এলিভেটরের Sheave-কে ঘোরাবে , তাকে আর এত বেশি শক্তি দিতে হবে না ।
দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে উপর থেকে কিছু নামাতে থাকলে তা নিশ্চয়ই দুলবে । কিন্তু এলিভেটর যে পথ বরাবর নামে সেখানে নামার জন্য বিশেষ ধরণের গাইডওয়ে থাকে (অনেকটা রেলগাড়ি চলার রেললাইন এর মত) ।
এলিভেটর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ধারণ করার জন্য এলিভেটরে থাকে একটা কন্ট্রোল সিস্টেম । এর কাজ হচ্ছে এলিভেটরে লোড সেন্সর থাকে । ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ওজন হয়ে গেলেই তা বিপ বিপ আওয়াজ করে । কন্ট্রোল সিস্টেমের কাজের মধ্যে রয়েছেঃ
১. এলিভেটরের বর্তমান অবস্থান নির্ণয়
২. যাত্রী কোথায় যেতে চান তা নির্ণয়
৩. ফ্লোরের অবস্থান জানা নির্ণয়
লাইট সেন্সর ব্যবহার করে এলিভেটরের বর্তমান অবস্থান জানা হয় । যাত্রী কোথায় যেতে চান তা এলিভেটরের কারে থাকা সুইচ চেপেই কন্ট্রোল সিস্টেমকে জানান হয় । বিভিন্ন ফ্লোরগুলোর অবস্থানও কন্ট্রোল সিস্টেমে দেওয়া থাকে । যাত্রীর চাহিদা জেনে কন্ট্রোল সিস্টেমই মোটরকে প্রয়োজনীয় পরিমানে ঘুরায় ও থামায় ।
এছাড়াও Governor বলে আরেকটা সিস্টেমের কথা বলে শেষ করছি । ধরা যাক কোন কারণে সবগুলো দড়িই ছিঁড়ে গেল । তখন কি হবে?
Governor আরেকটি Sheave এবং দড়ি থাকে । এই দড়ির অপর প্রান্ত একদম নিচে আরেকটি governor এর sheave এর সাথে যুক্ত থাকে এবং দড়িটি একই সাথে এলিভেটর কারের সাথেও যুক্ত থাকে । এর ফলে যখন এলিভেটর কার উপরে ওঠে বা নিচে নামে তখন governor এর sheave-ও ঘোরে । এতে দুটো ফ্লাইওয়েট (ধাতব বাহু) থাকে যারা প্রত্যেকে একটি করে পিনের মাধ্যমে যুক্ত । এই ফ্লাইওয়েট আবার দুটো লিঙ্ক রডের মাধ্যমে যুক্ত, সংযোগস্থলে স্প্রিংও থাকে। যখন governor এর sheave ঘুরে, এই ফ্লাইওয়েটও ঘুরতে থাকে । কিন্তু যদি মোটরের sheave এর সাথে সংযুক্ত সবগুলো দড়ি ছিড়ে যায় এবং এলিভেটর দ্রুত নিচের দিকে পড়তে থাকে তাহলে governor এর sheave এর ঘোরার বেগ অনেক বেড়ে যায় ।
বেগ বেড়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে কেন্দ্রবিমুখী বল বেড়ে যাওয়া । এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কেন্দ্রবিমুখী বল ফ্লাইওয়েটদুটোকে বাইরের দিকে ছুড়ে দেয় । স্প্রিং তখন সংকুচিত হয়ে যায়। বাইরে একটা স্থির অংশ থাকে যাকে র্যাচেট বলে । Sheave ঘুরুক আর না ঘুরুক এটা সবসময়ই স্থির থাকে । তাই ফ্লাইওয়েট যখন বাইরের দিকে ছিটকে যায়, এই র্যাচেট তাকে আটকে ফেলে এবং এলিভেটরও আটকে যায় । তাই বলা যায় যে রোপড এলিভেটরে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আসলে খুবই কম ।
Post a Comment