অদ্ভুতুড়ে 11:50 PM

চোখ বুজে টাইটানিক ছবির কথা ভাবলে কোন দৃশ্যটা আপনার চোখে ভাসে বলুন তো? কেউ হয়তো জাহাজের একদম সামনে দাঁড়িয়ে জ্যাক আর রোজের ‘পাখি’ হওয়ার দৃশ্যের কথা বলবেন। বিলাসবহুল জাহাজের হাসিখুশি দিনগুলোও হয়তোবা দাগ কাটতে পারে কারও মনে। যদি বলি জেমস ক্যামেরন পরিচালিত বিখ্যাত এই চলচ্চিত্রের কথা ভাবলে কোন সুরটা আপনার কানে বাজে? এই প্রশ্নে প্রায় সবার উত্তর বোধ হয় মিলে যাবে। টাইটানিক ছবির থিম সং ‘মাই হার্ট উইল গো অন’। সর্বকালের অন্যতম সেরা গানটির গায়িকা সেলিন ডিওন, কোথায় তিনি? পাঁচবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী কানাডার গায়িকার জীবনের গল্পটাও টাইটানিক ছবির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

 

সেলিন ডিওন জ্যাককে হারাতে দেয়নি
স্বামী রেনে অ্যাঞ্জেলিল দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর ‘দ্বিতীয়বার’ গানের ভুবন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সেলিন। গত ২৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের মঞ্চে ফিরেছেন আবার। ১৯৯৯ সালে তাঁর জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, সে সময়ই প্রথমবার রেনের ক্যানসার ধরা পড়ে। স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে ২০০২ সাল পর্যন্ত বিরতি নিয়েছিলেন সেবার। একের পর এক কনসার্ট আর সফল অ্যালবাম দিয়ে টাইটানিক ছবির গায়িকা যখন নিজের অবস্থান ফিরে পেয়েছেন, ২০১৩ সালে আবার এল আঘাত। ‘দিনটা আমার মনে আছে, কারণ সেদিন ছিল আমাদের বিবাহবার্ষিকী। আমি কনসার্টের মহড়া নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। এক ফাঁকে ড্রেসিংরুমে ঢুকে দেখি, রেনে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। শূন্য দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “আমার আবারও ক্যানসার ধরা পড়েছে।” শুনে আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল, হাত-পা চলছিল না। ওই অবস্থায় মেকআপ মেখে হাসিমুখে আমি কনসার্টে গান করেছি। কিন্তু মঞ্চ থেকে নামার পরই বাস্তবতা আমাকে ঘিরে ধরেছিল।’ বলতে বলতে সেলিন চোখের পানি মোছেন। সে সময়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ক্যারিয়ারের আগে তাঁর কাছে পরিবার। লাখ লাখ ডলারের চুক্তি পায়ে ঠেলে, গানের ভুবন ছেড়ে আবার পরিবারকে দিয়েছেন তাঁর পুরো সময়।
গত দুই বছর তিন সন্তানসহ রীতিমতো ‘চারটি’ শিশুর দেখভাল করেছেন। সেলিন জানান, অসুস্থ রেনে ছিলেন শিশুর মতোই। এ সময় সন্তানেরা তাঁকে সাহস জুগিয়েছে। ‘বাচ্চাদের কিছু বুঝিয়ে বলতে হয়নি। ছোট হলেও ওরা সব বোঝে। আমি যখন বলতাম, “আসো, পাপাকে খাওয়াতে সাহায্য করো।” ওরা ঠিকই বুঝে নিত, আমাদের পরিবার একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
দ্বিতীয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে প্রিয়তম স্বামীকে সুস্থ করে তুলেছেন সেলিন। স্বামীর অনুরোধেই আবার ফিরেছেন মঞ্চে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিতই গাইবেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, এরই মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
বিরতির পর সেলিন ডিওন যখন ফিরেছেন, গানের ভুবন তখন ব্রিটনি স্পিয়ার্স, মাইলি সাইরাসদের দখলে। কানাডার এই শিল্পী কি আবার নিজের অবস্থান ফিরে পাবেন? এসব প্রশ্নে তিনি একেবারেই শঙ্কিত নন। স্বামী-সন্তান তাঁর সঙ্গে আছে, এটাই ৪৭ বছর বয়সী গায়িকার সবচেয়ে বড় শক্তি!
 ডেইলি মেইল অবলম্বনে

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.