অদ্ভুতুড়ে 2:17 PM
করল্লার বিশেষ গুন || করল্লা ক্যান্সার, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে ।

করল্লার বিশেষ গুন

করল্লা ক্যান্সার, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে


বিটার মেলন একটি সবজি বাংলা নাম করল্লা, এটা দূর করতে পারে ডায়বেটিস, কান্সার, আরো অনেক মারাত্মক কিছু শারীরিক ব্যাধি। এর তিক্ততার কারণে অনেকের মুখে রোচে না, কিন্তু শুধুমাত্র স্বাদের কথা ভেবে স্বাস্থ্যের কথা একেবারে ভুলে যাওয়া যাবে না।
দ্য নেভাডা সেন্টার অফ আল্টারনেটিভ অ্যান্ড অ্যান্টি এইজিং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ডঃ ফ্রাংক শ্যালেনবার্গার এম.ডি লক্ষ করেন করল্লার রয়েছে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির প্রতিরোধ ক্ষমতা। তিনি তার রোগীদের প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন ক্যান্সার নিরাময়ের সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করার জন্য। তিনি আর একটি গবেষণায় দেখতে পান করল্লার রস পানিতে মাত্র ৫% মিশ্রিত হয় যা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। করল্লার প্রায় ৯০%- ৯৮% পর্যন্ত ক্যান্সারের কোষ নস্ট করার ক্ষমতা রয়েছে। দ্য ইউনিভার্সিটি অফ কলোরাডোর গবেষণায় দেখা যায় করল্লা অগ্ন্যাশয়ের টিউমার প্রায় ৬৪% কমিয়ে আনতে পারে।
এছাড়াও ডঃ শ্যালেনবার্গার তার গবেষণায় দেখতে পান, উচ্চ রক্ত চাপ, অ্যাজমা, ত্বকের ইনফেকশন, ডায়বেটিস এবং পাকস্থলীর সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে এই একটি সবজি ‘করল্লা’। করল্লায় রয়েছে ভিটামিন সি, বি১, বি২, বি৩ , পটাশিয়াম, বেটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, হাই ডায়াটেরি ফাইবার, ফোলায়েট, জিংক, ফসফরা্‌ এবং খুব কম ক্যালরি রয়েছে। করল্লা আরও ৭ টি শারীরিক সমস্যা সমাধান করে।
০১. পরীক্ষিত ভাবে প্রমাণিত যে করল্লা এনার্জি লেভেল ও স্ট্যামিনা বাড়ায়।
০২. গর্ভধারণের প্রথম দিকে নারীরা করল্লা নিয়মিত খেলে শিশুদের নিউট্রাল টিউব ডিফেক্ট হতে রক্ষা পায়।
০৩. বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, রক্তের সুগারের মাত্রা কমায় এবং টাইপ-২ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যা করল্লার মদ্ধে রয়েছে ।
০৪. এর রস নিয়মিত পান করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং নানা ধরণের ইনফেকশন হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
০৫. হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্ন সমস্যাও দূর করে।
০৬. এর রস লিভার পরিস্কার সহ এবং লিভারকে টক্সিনমুক্ত রাখে। তাছাড়া এটি রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
০৭. নিয়মিত করল্লার রস পান করলে সোরাইসিসের অবস্থা উন্নত করে এবং ফাঙ্গাস জনিত সমস্যা দূর করে।
যেভাবে খাবেন করল্লা;
ভালো করল্লা কিনে ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে হাল্কা পরিষ্কার করে নিন।
১. যে কোনো আমিষ খাবারের সাথে বা অন্য সবজির সাথে ভাজি করে খেতে পারেন।
২. করল্লার শুকনো গুঁড়ো আইসড ও দুধ চায়ে মিশিয়েও পান করা জায়।
৩. করল্লার আচার তৈরি করে খেতে পারেন।
৪. শুধু করল্লার জুস করে পান করতে পারেন।

সৌজন্যে- ছারোয়ার

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.