অদ্ভুতুড়ে 2:12 AM

 

বিজ্ঞান এবং আবিষ্কারের ইতিহাসে বিড়ালেরও যে অভাবনীয় অবদান আছে তা আমরা খুব অল্প সংখ্যক মানুষই হয়ত জানি । এই মজার ইতিহাসের তৃতীয় পর্বে আপনাদের স্বাগতম । ভিডিও সহ ।

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব


নিচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন। কোনো বিড়ালকে নিয়ে এটিই বিশ্বের প্রথম ভিডিও। ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে টমাস এডিসনের দল কাইনেটোগ্রাফ (Kinetograph) নামক ভিডিও ক্যামারাটি উদ্ভাবনের কিছুদিন পরেই এই দৃশ্যটি ধারণ করা হয়।
ভিডিও লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=k52pLvVmmkU


Félicette হলো মহাকাশ ভ্রমণ করা বিশ্বের প্রথম বিড়াল। ফরাসি সরকারের একটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে তাকে প্যারিসের এক রাস্তা থেকে ধরে আনা হয়।
অবশেষে আসে সেই দিন, ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর। Félicette-কে একটি বিশেষ ক্যাপসুলে ভরে French Veronique AG1 রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হয়। এ সময় তার মস্তিষ্কের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য তার মাথায় বেশ কিছু ইলেকট্রোড লাগানো হয়েছিলো।
প্রায় একশ মাইল উপরে ওঠার পর ক্যাপসুলটি রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং নিরাপদে প্যারাসুটের সাহায্যে মাটিতে নেমে আসে।
কিন্তু Félicette-এর ভাগ্য খারাপ। তার ব্রেইন ইমপ্ল্যান্ট পরীক্ষা করতে বিজ্ঞানীদের কাটা-ছেঁড়ার বস্তুতে শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় সে। তবুও Félicette-এর এই পনের মিনিটের ভ্রমণই তাকে এনে দিয়েছিলো এক অন্য রকম খ্যাতি।


ছোটবেলায় নিকোলা টেসলার খুব প্রিয় বন্ধু ছিলো ম্যাকাক নামের এক বিড়াল, টেসলার ভাষায় যেটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বিড়াল’। টেসলার পরবর্তী জীবনের নানা গবেষণায় এই ম্যাকাক কী রকম প্রভাব বিস্তার করেছিলো তা বোঝাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, “একদিন গোঁধূলিবেলায় যখন আমি ম্যাকাকের পিঠ চাপড়ে দিলাম তখন এমন এক অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটলো যা আমাকে বিস্ময়ে বাকরূদ্ধ করে দেয়। ম্যাকাকের পিঠে হঠাৎ আলো চমকে উঠলো আর আমার হাত এমন বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ তৈরি করলো যার শব্দ পুরো ঘরেই শোনা গেলো ... আমার মা আশ্চর্য হলেন। ‘বিড়ালটির সাথে খেলা বন্ধ করো। আগুন লেগে যেতে পারে’, তিনি বললেন। কিন্তু আমি আনমনে চিন্তা করছিলাম। প্রকৃতি কি অনেক বড় একটি বিড়াল? তাহলে তার পিঠে কে চাপড়ে দেয়?... আমার শৈশবের সেই রাতের কল্পনাকে আমি বর্ণনা করে বোঝাতে পারবো না। দিনের পর দিন আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছি, ‘বিদ্যুৎ আসলে কী’”?
উপরের কথাগুলো পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে পরবর্তী জীবনে নিকোলা টেসলার একজন বড় মাপের বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার পেছনে এই ম্যাকাকের আছে এক বিরাট অবদান।




বিজ্ঞানে বিড়ালের অবদান সম্পর্কিত আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি শ্রোডিঙ্গারের বিড়ালের গল্পই না বলি। কোয়ান্টাম মেকানিক্স কীভাবে কাজ করে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই তিনি এই বিড়ালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গল্পটা অনেকটা এরকমঃ

একটি বাক্সে একটি বিড়ালকে বন্দী করে রাখা আছে। তবে সে একা নেই। সাথে আছে এক বোতল হাইড্রোসায়ানিক এসিড আর ট্রিগার মেকানিজমে যুক্ত এক তেজস্ক্রিয় পদার্থ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি একটি তেজস্ক্রিয় পরমাণুও ক্ষয় হয় তাহলে ট্রিগার ‘অন’ হয়ে তা এসিডের বোতলে আঘাত হানবে। ফলে ভেঙে যাবে বোতলটি আর মারা যাবে বাক্সবন্দী সেই বিড়াল (চিত্র দ্রষ্টব্য)।


এখানেই কিন্তু মজা লুকিয়ে আছে। পরীক্ষা চলাকালে বাক্স খুলে দেখা যাবে না ভেতরে কী হচ্ছে। ফলে আমরা জানতেও পারছি না যে বিড়ালটি আসলে মারা গেছে কি না। কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুসারে ‘বিড়ালটি একইসাথে মৃত এবং জীবিত’! কীভাবে? সেই আলাপ না হয় আরেকদিনের জন্যই থাক...

পরিশেষে বলা লাগে- বিড়াল কি শুধুই কিউট হয়? বিড়াল ক্লোন হয়, মহাকাশে যায়, অনুপ্রেরণাও দেয়...........

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.