অদ্ভুতুড়ে 4:39 AM

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।


বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে। 
অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।

কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।



কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট নয় শতাংশ জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।


আক্রমনাত্মক মামলা:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।


কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।

একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।


পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।


কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।


শিশু শ্রম:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।


কর্মচারীর অপব্যবহার:

অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।


তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে:



অ্যাপলের সাথে কি আপনি পরিচিত? প্রশ্নটা হাস্যকর হাহাহাহা...! কম বেশি সবাই জানি অ্যাপলের কোন না কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যারা প্রযুক্তির সাথে মিশে আছেন। কেননা তারা বিশ্বের সবচাইতে স্বীকৃত ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি।   বড় বড় সব কর্পোরেশন সবসময় কমিক এবং চলচ্চিত্রে খলনায়ক চরিত্রে প্রতিনিধিত্ব করতে ইউজ করা হয়েছে। একটু ঘাঁটাঘাটি করলে দেখা যাবে সেই সব কর্পোরেশন গুলোর একটিও অ্যাপলের থেকে বড় নয়। আসলে বাস্তব জীবনেই এই অ্যাপল খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে আপনি শুনলেই আশ্চর্য হবেন । আজকের এই পোস্টে আমি ৯টি বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যা আপনাকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলবে।    অত্যাধিক ট্যাক্স পরিহার  সব দেশের আইন পর্যালোচনা করলে যা দেখা যাবে, এই ভেবে তারা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকে যে তাদের ট্যাক্স পরিহারের ব্যাপারটি যাতে পুরোপুরি আইনি হয়। বর্তমানে আক্ষরিক পৃথিবীর দারিদ্র দূরীকরণের জন্য অ্যাপল এই ব্যাপক পরিমান অর্থের মজুদ প্রক্রিয়া চালু করেছে - যা এক ধরনের অপমানের ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই না। আমার কথাগুলো কোন বাজে কথা নয়। দি গার্ডিয়ান তথ্য অনুযায়ী অ্যাপল ফাঁকি দিচ্ছে প্রায় 100 বিলিয়ন ডলার ট্যাক্সের হাত থেকে। তাদের এই ১০০ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু মাত্র দক্ষিন আফ্রিকার দারিদ্র দূরীকরণে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।  কিন্তু এটা তো তাদের নিজের কোম্পানির টাকা, তাই না? তবে আপনি যদি তা "গিভ টু দি পোর" হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে বিশ্বের যে কোন কোম্পানি তাদের সবকিছু হারিয়ে পথে বসবে। তবে এই উন্মাদ পরিহার কৌশল বজায় রাখলে অ্যাপলের কোন ক্ষতি হবে না। তারা দারিদ্র দূরীকরণের চাটি ব্যবহার করে ট্যাক্সকে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই অবাক লাগে। অ্যাপল তাদের এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে অ্যাপল অন্যান্য প্রতিযোগীদের থেকে একটি অতিশয় অন্যায্য সুবিধা ভোগ করছে। সবথেকে খারাপ বিষয় হল এই বিশাল পরিমান টাকা মজুত করার প্রক্রিয়া অ্যাপলকে তাদের শিল্পে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।   কংগ্রেসকে অ্যাপলের প্রতারণা  এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত(!) যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বোর্ড জানিয়ে ইচ্ছা মত রেট বসিয়ে ট্যাক্স দেয়া যেত। একবার চিন্তা করেন কি হত এতে। প্রথমত সবাই আপনার কথা শুনে হাসাহাসি শুরু করত। আপনার ভাগ্য খারাপ থাকলে আপনার সমস্ত প্রোপার্টি বাজেজাপ্ত করে আপনাকে জেলে পাঠানো হত। কিন্তু আপনি যদি অ্যাপলের সিইও টিম কুক হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে তা ঘটবে না। কিছু দিন আগে কুক কংগ্রেসকে জানান তারা তাদের কোম্পানির ট্যাক্স দিতে পারবে যদি তাদের মন মত রেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। অ্যাপলের তাদের প্রস্তাবিত রেট(নয় শতাংশ) জানালে কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সেই রেট মেনে নেয়। এছাড়াও তারা প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় ব্যয় করে মহৎ এই অ্যাপলের পণ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করে।   আক্রমনাত্মক মামলা  আক্রমনাত্মক মামলা বিষয়টি আসলে কি? সাধারণত যখন আর্থিকভাবে বড় কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি বা সেন্সরের জন্য অন্য কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। অ্যাপলের মামলার ফাইলগুলো অনেকটা পেশাদার সড়ক দুর্ঘটনায় শিকারের মত। এই মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে অ্যাপল ও স্যামসাং এর মধ্যে বড়সড় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অ্যাপলের অভিযোগ স্যামসাং তাদের স্মার্টফোন অ্যাপলের স্মার্টফোনের সমগ্র কনসেপ্ট ব্যবহার করেছে। যেমন, অ্যাপলের সুইপিং টু আনলক, অ্যাপস এর স্কোয়ার আইকন, টাচের মাধ্যমে যে কোন ডকুমেন্ট কে বর্ধিত করার টেকনিক, অ্যাপলের আয়তাকার ফোনের শেপ  সহ বেশ কিছু কনসেপ্ট স্যামসাং নকল করেছে বলে অ্যাপল দাবি করে। কিন্তু একটি স্মার্টফোনের বর্ণনায় এগুলোর একটি কনসেপ্ট ও ব্যবহার হয় বলে মনে হয় না। বরং অ্যাপল স্যামসাং এর এই নতুনত্ব কে স্বাগত না জানিয়ে তাদের পথে বাধার সৃষ্টি করছে।   কোর্টের রায় ও অ্যাপলের বিরোধিতা  অ্যাপল বনাম স্যামসাং এর মধ্যে উপরের মামলার ফলে অ্যাপল ইউকে থেকে তাদের ট্যাবলেট খুইয়েছে। সাথে ইউকে কোর্ট অ্যাপলকে স্যামসাং এর কাছে তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাপল ইউকে আদালত কতৃক অর্ডার অনুয়ায়ী তাদের বিরোধী দলের কাছে ক্ষমা বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয়। আদালত থেকে প্রেরিত প্রথম নোটিশটিতে অ্যাপলের কাছ থেকে গ্রহনযোগ্য কোন কৈফিয়ত না পাওয়ায় তাদেরকে দ্বিতীয় নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু এর পরের এই নোটিশ সাধারন জনগনের নাগালের বাহিরেই থেকে যায়।  একবার ভেবে দেখেন, আপনি যদি কোন আদালতের নির্দেশ অমান্য করেন তাহলে তা অবমাননার অভিযোগে কঠোর-ভাবে তিরস্কৃত হতে পারেন। কিন্তু অ্যাপলের এর ধরনের ব্যবহার প্রমান করে যে তারা আইনের কাছে কততুকু শ্রদ্ধাশীল।   পরিবেশ বিনাশকারী হিসেবে অ্যাপল  অ্যাপল তাদের শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ফেলার স্থান হিসেবে নদীকে ব্যবহার করছে। অ্যাপল এখন  চীনা শ্রমিক এবং পরিবেশগত আইনি সমস্যা থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের সরবরাহকারীদের দ্বারা বিপুল পরিমান বিষাক্ত গ্যাসের মেঘ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষেরা বিস্ময়কর হারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অন্য কথায়, এর ফলে পুরো পরিবারের সম্পুর্ন বিলুপ্ত হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের শুরুতে অ্যাপল তাদের আইপ্যাড তৈরির খরচ কমানোর জন্য সস্তা কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার ফলে প্রায় ১৩৭ জন কর্মী সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।   কর্মীদের হারভাঙ্গা খাটুনির ব্যবহার  শ্রমিকদের একটানা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাদের ব্যাবসায়িক প্রথায় নতুন কোন ঘটনা নয়। অ্যাপলে এই সব শ্রমিকদের যে শর্তে কাজ দেয়া হয় তা ভয়াবহ ও জঘন্য। প্রতি মাসের কাজের বেতন মাত্র ৪০ ডলার এবং এই সব শ্রমিকদের দিনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা একটানা কাজ করে যেতে হয়। ঘুমাতে হয় ঘনবসতিপূর্ণ শ্রমিক আস্থানায়। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয় না এমনকি বাহিরের বিশ্বের সাথেও। রোজ সকালে আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করে তারা।   শিশু শ্রম  বিশ্বের যে কোন দেশে শিশুশ্রমের থেকে বেশি অনৈতিক কোন কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপল এই অনৈতিক কাজ করে আসছে এখন পর্যন্ত। ২০১০ সালে অ্যাপলের চাইনিজ সরবরাহকারীরা প্রায় ৯১ জন শিশুকে দিয়ে কাজ করাতো। কিন্তু তাদের এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়। শেষ দুই বছরে অ্যাপলের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রমিক সংখ্যা ৯১ জন থেকে বেড়ে ১০৬ জনে উপনীত হয়।   কর্মচারীর অপব্যবহার  এই পয়েন্ট এ আপনি আমার লেখাগুলো পড়ে হতাশ হতে পারেব আবার আশ্চর্যও হতে পারেন অথবা এমনকি আপনি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আপনি পড়াও বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি এখনও আমাদের সাথে থাকেন তাহলে আপনি এখন একথা শুনে বিস্মিত হবেন যে অ্যাপল সেই সব সরবরাহকারীদের সমর্থন করে যারা তাদের শ্রমিকদের অবমাননা করে। এই শ্রমিকরা প্রায় সরবরাহকারীদের এক ধরনের চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয় এবং তাদেরকে একটি বসবাসযোগ্য পণ্যাগারে বাস করার জন্য বাধ্য করা হয়। যে কোন কাজ করার জন্য তাদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়, ৩৪ ঘণ্টা শিফটে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, আলসেমির জন্য হাই তুললে বেতন কমিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এখানকার অনেক শ্রমিক অত্যাধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে মারা গেছে। সরবরাহকারীরা তাদের এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এবং  শ্রমিকদের পরিবার কে সর্বনিম্ন ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কনট্র্যাক বাতিল করে।   তারা তাদের গ্রাহকদের ঘৃণা করে  আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।  এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।  আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।


আগে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন যে, অ্যাপল সব সময় তাদের প্রতিদণ্ডীদের ঘৃণার চোখে দেখে। ধরুন, আপনি আপনার ডিভাইসের কিছুটা পরিবর্তন করতে চান অথবা Jailbreak করাতে চান। যাতে করে আপনি আপনার ডিভাইসে যে কোন তৃতীয় পক্ষের যে কোন প্রোগ্রামকে চালাতে পারেন। কিন্তু অ্যাপল ইচ্ছাকৃত ভাবেই আপনার পরিবর্তিত ডিভাইসটির প্রোগ্রামকে নষ্ট করতে বার বার আপডেট পাঠায়। মানে হল অ্যাপল আনন্দের সাথে আপনার থেকে কষ্টার্জিত টাকা নিবে - ভোক্তাদের সাথে সুন্দরভাবে লেনদেন সম্পূর্ণ করবে এবং শেষে আপনার ইচ্ছামত কোন কিছু পরিবর্তন করতে চাইলে তা বাধার সৃষ্টি করবে।

এখন আপনি যদি একটি খলনায়ক কে বর্ণনা করতে চান তাহলে অন্যায়, অনৈতিক, অবিচার, ঘৃণা এই সব বিষয় গুলো সব সময় একই লাইনে বিরাজ করবে। আর এই ৯টি প্রকৃত ঘটনা অ্যাপলকে নিশ্চিত ভাবেই সেই খলনায়ক পরিচয়ে পরিচিত করে।

আপনি কী মনে করেন অ্যাপল কী আসলেই প্রযুক্তি জগতের খলনায়ক নয়? আপনার কমেন্ট নিচে দিয়ে জানান।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.