অদ্ভুতুড়ে 1:44 AM
হাইড্রোলিক এলিভেটর
আজকের এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে স্থান দিতে উপায় একটাইঃ সামনে-পিছনে কিংবা পাশাপাশি যেহেতু যাওয়ার কোন উপায় নাই, তাই আকাশ মুখি চলো । সব বাসাবাড়ি, অফিস যা আছে সব এখন উঁচু উঁচু ইমারত হয়ে যাচ্ছে- কারণ কিন্তু এটাই । তো সিঁড়ি বেয়ে এই উঁচু উঁচু ইমারত যদি  উঠতে হত তাহলে কি অবস্থা হত আমাদের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই এই উদ্ধার অভিজানে এলিভেটর রীতিমত আশীর্বাদ হয়ে আসা ইঞ্জিনিয়ারিং সাফল্য ।

তো সরাসরি এলিভেটরের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি আমরা । এলিভেটর সাধারণত দুই ধরণের  হয়ে থাকে । অল্প কথায় এই দুই ধরণের এলিভেটর সম্পর্কেই জানাতে চেষ্টা করব আমি আপনাদের ।

হাইড্রোলিক এলিভেটরঃ 
 উচ্চ চাপ প্রবাহী পদার্থ ব্যাবহার করে লিফট ওঠা নামা করানো হয় । এটিতে পিস্টনযুক্ত সিলিন্ডার থাকে । এলিভেটরের মানুশ দাঁড়ানোর স্থান (এই স্থান টাকে বলে এলিভেটর কার) এর নিচে পিস্টনের মাথা যুক্ত থাকে । প্রবাহী পদার্থকে উচ্চ চাপ দেয়ার জন্য একটা পাম্প থাকে । একটি ভাল্ব থাকে যার কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ । এই এলিভেটর-এ যে ভালভটা থাকে তার মধ্যে দিয়ে প্রবাহী কেবল ফ্লুইড ট্যাঙ্ক থেকে সিলিন্ডারের নিচের অংশের রিজার্ভার এ যেতে পারবে কিন্তু পুনরায় ফেরত আসতে পারবে না ।


উপরের তত্ত্ব টা বুঝে ফেললেই কিন্তু আপনারা অনুমান করতে পারবেন কিভাবে এই হাইড্রোলিক এলিভেটর কাজ করে । পাম্পের মাধ্যমে প্রবাহীর ট্যাঙ্ক থেকে প্রবাহী পদার্থ নিয়ে উচ্চচাপে সিলিন্ডারের ভেতর পাঠানো হয় । পিস্টনকে এই উচ্চচাপে থাকা প্রবাহী পদার্থ চাপ প্রয়গে উপরে তুলে দেয় । আর পিস্টন এলিভেটর কারকে উপরে তুলে । এইতো উপরে ওঠে গেলাম আমরা । এবার নামার চেষ্টা করি । নামার সময় শুধু যে ভালভটাকে খুলে দিলেই হয়ে যাচ্ছে । তাহলে যে উচ্চচাপে বিদ্যমান ছিল তা প্রবাহীর উল্টোদিকে অর্থাৎ কিনা ফ্লুইড ট্যাঙ্কে পুনরায় ফেরত যাওয়ার পথে আর কোন বাধা থাকবে না । সেই সাথে পিস্টনও এলিভেটর কারকে নিচে নিয়ে আসবে ।

হাইড্রোলিক এলিভেটরের প্রধানত দুটো সমসসা রয়েছে । প্রথমটা সমসসা হচ্ছে পিস্টন এবং সিলিন্ডার,এরা কোথায় থাকবে? মনে করুন দশ তলা বিল্ডিং এর জন্য হাইড্রোলিক এলিভেটর স্থাপন করা হবে । তাহলে পিস্টনটা এলিভেটর কারটাকে দশতলা পর্যন্ত ওঠানোর সক্ষম হতে হবে । একটু ভেবে দেখুন যে দশতলা বিল্ডিং এ যদি হাইড্রোলিক এলিভেটর লাগাতে হয় এই বিশাল সাইজের পিস্টনকে স্থান দেয়ার জন্য মাটির নিচে অন্তত নয়তলা বিল্ডিং এর সমান গর্ত করে নিতে হবে ।

অন্য অসুবিধা হচ্ছে পাম্প ব্যবহার করা প্রবাহীকে উচ্চচাপ দেওয়া হয় (একটা মোটর দিয়ে এই পাম্পটা চালানো হয়), এই শক্তি খরচ করে পিস্টন বা এলিভেটর কার উপরে উঠল । আর এক্তু পরিষ্কার ভাবে বললে- বিভব শক্তি হিসেবে এই শক্তিটা সঞ্চিত হয়ে থাকবে । এখন এলিভেটর কার বা পিস্টন যখন নেমে আসবে তখন এই শক্তির প্রায় পুরোটাই প্রবাহীকে ট্যাঙ্কে ফেরত আনার কাজে এবং ঘর্ষনজনিত কাজে ব্যয়িত হয়ে যায় । যদি এই শক্তির কোন অংশ আমরা জমিয়ে রাখতে পারতাম যাকে পরবর্তীতে এলিভেটর কারকে ওপরে তোলার সময় ব্যবহার করা যেত তাহলে তখন শক্তিও কম লাগত। কিন্তু তা এখানে করা সম্ভম হচ্ছে না।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.