![]() |
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে তোলা একটি ইবোলা ভাইরাস |
ইবোলা ভাইরাল জ্বর/Ebola virus disease(EVD) বা ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর/Ebola hemorrhagic fever(EHF) ইবোলা ভাইরাস দ্বারা মানুষের শরীরে সংক্রমিত একটি রোগ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ইতিমধ্যে এই রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে!এই রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশংখা প্রায় ৯০% পর্যন্ত হতে পারে, ২১ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে লক্ষন পরিলক্ষিত হতে, ফলখেকো বাদুর এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক এবং এখন পর্যন্ত এ রোগের কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি!
রোগটির ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করার জন্য তিনটি তথ্যই যথেষ্ঠঃ
*প্রথমত, এখন পর্যন্ত এই রোগটির কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি!
*দ্বিতীয়ত এটি ছোঁয়াচে, সাধারনত শরীরের অভ্যন্তরীন তরলের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায় এমনকি মৃত্যুর পর মৃত ব্যাক্তির শরীরেও এই রোগের ভাইরাস জীবিত অবস্থায় থাকে এবং তা জীবিতো মানুষকে সংক্রামিত করবার ক্ষমতা রাখে।
*তৃতীয়ত, ১০জন আক্রান্ত ব্যাক্তির মধ্যে ৬জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা !
এই রোগের লক্ষন সমূহঃ
ইবোলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ ২১দিন লাগতে পারে এর লক্ষনসমূহ পরিলক্ষিত হওয়ার জন্য! এই রোগের লক্ষন সমূহ সাধারন ফ্লু এর মতনই। সর্দি কাশি, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব, ডায়েরিয়া এবং জ্বর এই রোগের প্রধান উপসর্গ। সমস্যা হচ্ছে সাধারন ফ্লু হলেও একই লক্ষন পরিলক্ষিত হয়। ধিরে ধিরে পানিশুন্যতা, কিডনি এবং লিভার এর সমস্যা এবং রক্তক্ষরন এর দিকে ধাবিত হয়! কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ন ভেন্গে পরে জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। এইসব ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ হতে পারে! যেহেতু সাধারন ফ্লু এবং ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের লক্ষন একই তাই কারো উপরোক্ত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে! রক্ত পরীক্ষ করে নিশ্চিত হবে যে এটা ম্যালেরিয়া, হ্যাপাটাইটিস, কলেরা বা অন্য কোনো রোগের জীবানুর করানে হচ্ছে কিনা!
![]() |
ইবোলা ভাইরাসের একটি গাঠনিক চিত্র |
কিভাবে এই রোগ ছড়ায়ঃ
আক্রান্ত ব্যাক্তির শরীর থেকে নির্গত তরল এর সংস্পর্শে সুস্থ ব্যাক্তি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে! এখন শরীর থেকে নির্গত তরল যেমন ঘাম, বমি, ডায়েরিয়ার এর সংস্পর্শে আসলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। বীর্যের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াতে পারে! আক্রান্ত রুগী মারা গেলেও মৃতের শরীরেও এর জীবানু সক্রিয় থাকে ফলে মৃতব্যাক্তির শেষক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় সর্বোচ্চ সতর্কঅবস্থা অবলম্বন করা উচিত!
কিভাবে আপনি এ রোগের হাত থেকে বাঁচবেনঃ
আপনি যদি লাস্ট দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত দেশ গুলোর কোনো একটিতে ভ্রমন করে থাকেন তবে অবশ্যই সতর্ক অবস্থা গ্রহন করা উচিত। সবসময় হাত সাবান ও গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখ, নাক বা মুখে হাত না লাগনো হয় হাত না ধুয়ে। আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আক্রান্ত ব্যাক্তির বডি লিকুইড যাতে আপনার সংস্পর্শে না আসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোনো কারনে এই রোগের লক্ষন দেখা দেয় তবে সাথে সাথে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে যাতে অন্য কেউ এ রোগে আক্রান্ত না হয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
চিকিৎসাঃ আবিষ্কার হয় নি
It is very very important post for people.Thanks for your post.
ReplyDelete