![]() |
সুপার গ্লু |
সায়ানোঅ্যাক্রিলেট নামক উপাদান দিয়ে সুপার গ্লুর তৈরি হয়, এটিই সুপার গ্লুর মূল উপাদান । এর রাসায়নিক সংকেত হছে C5H5NO2 । সায়ানোঅ্যাক্রিলেট হলো এমন একটি অ্যাক্রিলিক রেসিন যার প্রধান ধর্ম হচ্ছে মুহূর্তের মাঝেই খুব শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তোলা । তবে হাইড্রক্সিল আয়ন এক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে যা কিনা পানিতে বিদ্যমান থাকে । আর আমরা যে বস্তুতে এই গ্লু ব্যাবহার করি তার পৃষ্ঠদেশে বাতাসের আর্দ্রতার সাথে কিছু না কিছু পানি (বা জলীয়বাষ্প যাই বলি না কেন) থেকেই যায় । ফলে লাগানোর প্রায় সাথে সাথেই সুপার গ্লু তার কাজ শুরু করে দেয় ।
অনেক তো বন্ধন জোড়া লাগানো শিখলাম আমরা , এবার চলুন জানতে চেষ্টা করি কিভাবে এই বন্ধন ভাঙা যায় । কোন কিছু ভেঙ্গে গেলে তা জোড়া লাগাতে গিয়ে যদি হাতের দুই আঙুলে সুপার গ্লু লেগে আঙুলই জোড়া লেগে যায় তবে কি করবেন ? এই সমস্যার সমাধান খুব সহজ । আপনার হাতটি হালকা গরম পানিতে সামান্য কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন । দেখবেন একটু পর নিজ থেকেই আপনার আঙুল দুটি গ্লু থেকে আলাদা হয়ে গেছে । তবে গরম পানিতে হাত ডুবিয়ে আবার আঙুল টানাটানি করতে যাবেন না, তাহলে দুর্ঘটনা ঘোটতে পারে । আর যদি গরম পানির এই কৌশল কাজ না করলে তবে গ্লু লেগে থাকা স্থানে অ্যাসিটোন (নেইল পলিশ রিমুভারেই থাকে) লাগাতে পারেন যা গ্লু ছাড়াতে সাহায্য করবে ।
তবে সুপার গ্লু কি শুধু ভাঙা জিনিস জোড়া লাগাতেই ব্যাবহার হয় ? উত্তর অবশ্যই ‘না’। বরং এর রয়েছে আরো অনেক ব্যবহার । ডেন্টিস্টরা সায়ানোঅ্যাক্রিলেটকে ডেন্টাল সিমেন্ট হিসেবে এবং দাঁত ফিলিং করানোর সময় ব্যবহার করে থাকেন । গবেষকরা বিভিন্ন ভঙ্গুর ফসিল জোড়া লাগানোর কাজেও সুপার গ্লু ব্যবহার করেন । এছাড়া কার্টিলেজ, চামড়া এবং হাড়ের ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রক্রিয়াতেও সুপার গ্লুর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার আছে ।
Post a Comment