এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আছে বহু গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। প্রতিনিয়ত এসব গ্যালাক্সির জন্ম হচ্ছে। আবার এরা মারাও যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্যালাক্সির মৃত্যু হয় খুব ধীরে ধীরে। এর ভেতরে যেসব গ্যাস আছে তার সরবরাহ ফুরিয়ে গেলেই মৃত্যু হয় এই বিশাল তারকামণ্ডলীর। মৃত ও জীবিত কয়েক হাজার গ্যালাক্সি পরীক্ষা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তারা এই মৃত্যুকে তুলনা করেছেন গলা টিপে বা শ্বাসরোধের কারণে কোনো কিছুর মৃত্যু হওয়ার সাথে। এই গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের জন্ম মৃত্যু নিয়ে শুনুন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. অমিতাভ ঘোষের সাক্ষাৎকার।
উষ্ণ রক্তের মাছ অনেক সময়ই আমরা উপমা দেই যে মাছের রক্তের মতো ঠাণ্ডা। কিন্তু সব মাছের রক্তই কি ঠাণ্ডা? যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এই প্রথম উষ্ণ রক্ত আছে এরকম মাছের খোঁজ পেয়েছেন। গবেষণায় এই মাছটিকে বলা হচ্ছে গভীর সমুদ্রের ওপাহ কিম্বা মুনফিশ। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এই মাছটি তার হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কসহ গোটা শরীর, আশেপাশের পানির যে তাপমাত্রা, তার চেয়েও পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ রাখতে পারে।
মুনফিশ এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ড. নিকোলাস ওয়েঙ্গার। তিনি বলছেন, বুকের মধ্যে যেসব পেশী আছে সেসবের সাহায্যে মাছটি এই তাপ উৎপন্ন করে। তারপর মাছটির কানের নিচে যে শ্বাসযন্ত্র আছে তার কাছাকাছি রক্তবাহী নালীর মাধ্যমে এই তাপ পুরো শরীরে সরবরাহ করা হয়। ড. ওয়েঙ্গার আরো বলছেন, শরীরের উষ্ণ এই রক্ত গভীর সমুদ্রের ওপা মাছের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখে। এই উষ্ণ রক্তের কারণে আরো বেশি সক্রিয় থাকে মাছটির শরীরের পেশীও। ফলে মাছ খেকো আরো যেসব ঠাণ্ডা রক্তের মাছ আছে সেসবের হাত থেকে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। এই পৃথিবীতে যতো পশুপাখি আছে, সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে, তাদের মধ্যে শুধু স্তন্যপায়ী প্রাণী আর পাখির শরীরেই আছে উষ্ণ রক্ত। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার তুলনায়, এরা তাদের শরীর আরো বেশি উষ্ণ রাখতে পারে। টুনা ফিশের মতো হাতে গোনা আরো কয়েকটি মাছ আছে যারা শরীরের কিছু অংশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবে পুরো শরীরে তাপমাত্রা ছড়াতে পারে এরকম কোনো মাছের সন্ধান – পাওয়া গেলো এই প্রথম। রবোটিক হাত প্রকৌশলীরা এমন একটি রবোটিক হাত তৈরি করেছেন যা কীনা এখনকার তুলনায় আরো সূক্ষ্মভাবে মানবদেহে অপারেশনের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
রবোটিক হাত
অক্টোপাসের হাত যেভাবে চলাচল করে বা কাজ করে, সেটা দেখেই বিজ্ঞানীরা এই যান্ত্রিক হাত তৈরির ব্যাপারে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এই রবোটিক হাতের মধ্যে শক্ত কোনো হাড় রাখা হয়নি। যাতে প্রয়োজন অনুসারে, এই হাতের যেকোনো জায়গা থেকে, যেকোনো দিকে বাঁকানো ও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। ইটালিতে প্রকৌশলীদের বারোটি টিম এই হাতটি তৈরি করেছে। তবে এই গবেষণা কাজে সমন্বয় করেছেন লন্ডনে কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানের আসর পরিবেশন করেছেন মিজানুর রহমান খান
Post a Comment