প্রথম একক 'অন্দরমহল' দিয়ে শ্রোতার প্রশংসা কুড়ান। দ্বিতীয় একক 'মেঘ বরণ'-এর মাধ্যমে এখন মিডিয়ার পরিচিত মুখ তানজীব সারোয়ার। লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন
একটা সময় আমি খুব দুষ্ট ছিলাম। এলাকায়-পাড়ায় প্রচুর মারামারি করতাম। এসবের জন্য মা-বাবার অনেক বকাও খেতে হয়েছে। সংগীতে আসার পর অভ্যাসটি একেবারে কেটে গেছে। সারা দিন গান নিয়ে পড়ে থাকি'-বলছিলেন তানজীব সারোয়ার। গানের মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেলেও ছোটবেলায় তানজীব হতে চেয়েছিলেন আঁকিয়ে। সারা দিন বসে বসে নানা ছবি আঁকতেন। ছবি আঁকতে গিয়েই একসময় গানের জগতে পা রাখেন। কিভাবে? তানজীব বলেন, 'আমার ছবি আঁকাটা গডগিফটেড। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ছবি আঁকতাম। মজার বিষয় হলো, কোনো ছবিই দেখে আঁকতাম না। ছবিতে সব সময় একটি চরিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতাম। আঁকার ফাঁকে ফাঁকে গানও শুনতাম। একসময় মনে হলো, গানেও তো চরিত্র থাকে। চেষ্টা করে দেখি, গান লিখতে পারি কি না।' গান লেখা যখন শুরু করেন তখন তানজীবের বয়স ১৩ কি ১৪। প্রথম প্রথম গান লিখে ও সুর করে নির্জন কোনো স্থানে গিয়ে নিজে নিজে গাইতেন। কেমন হয়েছে বোঝার চেষ্টা করতেন। এরপর বন্ধুদেরও শোনাতে লাগলেন। সাড়াও মিলতে থাকল। তবে এক অচেনা মানুষের উৎসাহেই অ্যালবাম করার পোকা মাথায় ঢোকে। "একবার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাই। সেখানে চা দোকানে বসে 'অন্দরমহল' গানটি করি। শুনে পাশ থেকে একজন বললেন, 'আপনার গলা তো চমৎকার। এক কাজ করেন, একটা অ্যালবাম বের করে ফেলেন।' ব্যস! এটাই আমার লাইফের টার্নিং পয়েন্ট"-বলছিলেন বরিশালের এই ছেলে।
২০১২ সালে জি সিরিজের ব্যানারে আসে তাঁর প্রথম একক 'অন্দরমহল'। সব গানের কথা ও সুর করেন নিজেই। সংগীতায়োজনে রাফা। টাইটেল গানটির পাশাপাশি অ্যালবামের 'মেঘ মিলন' ও 'নয় গোছর' গানগুলো অনেকেই পছন্দ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের শেষদিকে আসে দ্বিতীয় একক 'মেঘ বরণ'। এই অ্যালবামেরও কথা-সুর তানজীবেরই। সংগীতায়োজনে সাজিদ সরকার। অ্যালবামের 'দিল আমার' ও 'মেঘ বরণ' গান দুটির মিউজিক ভিডিও বের করেন। 'দিল আমার' গানটি এখন বেশ জনপ্রিয়। গত ভালোবাসা দিবসে গানটির মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে ছাড়া হয়। সাড়ে তিন মাসে ভিডিওটি দেখা হয়েছে সাড়ে চার লাখের বেশিবার। শহর ছাড়িয়ে গ্রামের শ্রোতারাও দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। এই সাফল্যের রহস্য কী? তানজীন বলেন, 'গানটি ফোক টাইপের। ফোক গান এমনিতেই শ্রোতাদের বেশি টানে। তার ওপর গানটির মিউজিক ভিডিওতেও জসিমউদ্দীনের রূপাই চরিত্রটি তুলে আনার চেষ্টা করেছি। শ্রোতারা পছন্দ করেছেন।'
তানজীবের দুই অ্যালবামের তিনটি গান বিভিন্ন নাটকে ব্যবহার করা হয়েছে। 'মেঘ মিলন' ব্যবহার করা হয়েছে ছয়টি নাটকে, 'দিল আমার' ও 'মেঘ বরণ' রয়েছে একটি করে নাটকে। এটাকে সফলতার অংশ হিসেবেই দেখছেন তিনি। এত দিন লেখা, সুরের পাশাপাশি গেয়েছেন। এখন থেকে সংগীত পরিচালনার কাজটিও করবেন। তানজীব বলেন, 'গান তৈরির সময় অনেক ভাবনা মাথায় আসে। নিজে সংগীত পরিচালনা করলে সেগুলোর পুরোটাই দেওয়া সম্ভব। তাই সংগীত পরিচালনার দিকে ঝুঁকছি। তৃতীয় এককের সংগীতায়োজন আমি নিজেই কবব।' গান নিয়ে স্বপ্ন কী? স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, 'জীবনের শেষ অবধি সংগীতটাকে আগলে রাখতে চাই। ছায়ানটে শিখছি। দেশের বাইরেও পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।' সংগীত কেন করেন? আড্ডার শেষভাগে এর ব্যাখ্যাটাও দিলেন-'কারো মধ্যে কোনো দুঃখ থাকলে সংগীতের মাধ্যমে সেটা দূর করা যায়। সংগীত থাকলে আর কোনো বন্ধুর প্রয়োজন পড়ে না।' ।
![]() | ||||||||||||||||
| ছবিঃ মানোস সেন |
২০১২ সালে জি সিরিজের ব্যানারে আসে তাঁর প্রথম একক 'অন্দরমহল'। সব গানের কথা ও সুর করেন নিজেই। সংগীতায়োজনে রাফা। টাইটেল গানটির পাশাপাশি অ্যালবামের 'মেঘ মিলন' ও 'নয় গোছর' গানগুলো অনেকেই পছন্দ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের শেষদিকে আসে দ্বিতীয় একক 'মেঘ বরণ'। এই অ্যালবামেরও কথা-সুর তানজীবেরই। সংগীতায়োজনে সাজিদ সরকার। অ্যালবামের 'দিল আমার' ও 'মেঘ বরণ' গান দুটির মিউজিক ভিডিও বের করেন। 'দিল আমার' গানটি এখন বেশ জনপ্রিয়। গত ভালোবাসা দিবসে গানটির মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে ছাড়া হয়। সাড়ে তিন মাসে ভিডিওটি দেখা হয়েছে সাড়ে চার লাখের বেশিবার। শহর ছাড়িয়ে গ্রামের শ্রোতারাও দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। এই সাফল্যের রহস্য কী? তানজীন বলেন, 'গানটি ফোক টাইপের। ফোক গান এমনিতেই শ্রোতাদের বেশি টানে। তার ওপর গানটির মিউজিক ভিডিওতেও জসিমউদ্দীনের রূপাই চরিত্রটি তুলে আনার চেষ্টা করেছি। শ্রোতারা পছন্দ করেছেন।'
তানজীবের দুই অ্যালবামের তিনটি গান বিভিন্ন নাটকে ব্যবহার করা হয়েছে। 'মেঘ মিলন' ব্যবহার করা হয়েছে ছয়টি নাটকে, 'দিল আমার' ও 'মেঘ বরণ' রয়েছে একটি করে নাটকে। এটাকে সফলতার অংশ হিসেবেই দেখছেন তিনি। এত দিন লেখা, সুরের পাশাপাশি গেয়েছেন। এখন থেকে সংগীত পরিচালনার কাজটিও করবেন। তানজীব বলেন, 'গান তৈরির সময় অনেক ভাবনা মাথায় আসে। নিজে সংগীত পরিচালনা করলে সেগুলোর পুরোটাই দেওয়া সম্ভব। তাই সংগীত পরিচালনার দিকে ঝুঁকছি। তৃতীয় এককের সংগীতায়োজন আমি নিজেই কবব।' গান নিয়ে স্বপ্ন কী? স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, 'জীবনের শেষ অবধি সংগীতটাকে আগলে রাখতে চাই। ছায়ানটে শিখছি। দেশের বাইরেও পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।' সংগীত কেন করেন? আড্ডার শেষভাগে এর ব্যাখ্যাটাও দিলেন-'কারো মধ্যে কোনো দুঃখ থাকলে সংগীতের মাধ্যমে সেটা দূর করা যায়। সংগীত থাকলে আর কোনো বন্ধুর প্রয়োজন পড়ে না।' ।

Post a Comment