অদ্ভুতুড়ে 10:03 PM
স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু কৌশল জানা থাকলে অনেক কাজ করা যায়। মডেল: নিশা, ছবি: সুমন ইউসুফএই সময়ের মোবাইল ফোনগুলো কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়। বরং বেশি রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা, মিউজিক প্লেয়ার, ডিজিটাল ডায়েরি, রেডিওসহ অন্য আরও বহু যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে বিশেষ একটি স্মার্ট যন্ত্র হিসেবে একে নানা রকম কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফোনগুলোতে আরও অনেক ধরনের সুবিধা থাকে, যেগুলো দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ করে দেয়। তবে স্মার্টফোনের সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে চাই এর স্মার্ট ব্যবহার। কিছু কৌশল অবলম্বন করলে স্মার্টফোনের বিভিন্ন সুবিধা সহজেই নেওয়া যাবে।

ইন্টারনেটে তথ্য সমন্বয়
স্মার্টফোনে রাখা তথ্যগুলো নিয়মিত ইন্টারনেটের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত। অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন এবং উইন্ডোজ ফোন থেকে গুগল, ড্রপবক্স, ওয়ানড্রাইভ, আইক্লাউডে তথ্য সমন্বয় করা যায়। ফাইল রাখার এই ক্লাউড সেবাগুলোতে বিনা মূল্যে ফোনে সংরক্ষিত ফোন নম্বর, ছবিসহ সবকিছু রাখা যায়। ফোন হারিয়ে গেলে বা নতুন ফোন ব্যবহার শুরু করলে তথ্যগুলো হারিয়ে যাবে না। অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লাউডে সংরক্ষিত তথ্যগুলো নতুন ফোনে চলে আসবে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফোন করা
স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার এখন জনপ্রিয়। ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় থাকলে শুধু একটি অ্যাপ নামিেয়ই অন্যকে ফোন করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলার জন্য ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো, স্কাইপ, ওগোর মতো অ্যাপ রয়েছে। এগুলো বিনা মূল্যে নামিয়ে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে কথা বলা যায়। আর এর জন্য শুধু ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে ডেটা খরচটাই হয়ে থাকে।
জিপিএস এবং লোকেশন সার্ভিস
স্মার্টফোনে জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম থাকে। নতুন কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে বা পথ চিনে যাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। গুগল ম্যাপ হলো জিপিএস বা লোকেশন সার্ভিসের জনপ্রিয় এবং কার্যকর অ্যাপ। পৃথিবীর প্রায় সব স্থানের মানচিত্র এবং কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি থাকে এসব অ্যাপ।
অফিস স্যুট সফটওয়্যার

অফিসের কাজ করার জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, গুগল ডকের মতো সফটওয়্যার বেশ জনপ্রিয়। এই সফটওয়্যারগুলো বিনা মূল্যে স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপ দিয়ে তৈরি ফাইলগুলো অনলাইনে রাখাও যায়।

অ্যাপের নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ
স্মার্টফোনে বিভিন্ন কাজের অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন অ্যাপ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বার্তা বা নোটিফিকেশন দেয়। কখন কোথায় আছেন, তার ওপর নির্ভর করে নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। জরুরি কোনো আলোচনার সময় কিছুক্ষণ পরপরই যদি নোটিফিকেশন আসতে থাকে, তবে সেটি অশোভন মনে হবে। এ সমস্যা সমাধানের জন্যও রয়েছে কিছু অ্যাপ। যেগুলো ক্যালেন্ডারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের তালিকা এবং প্রয়োজনে জিপিএস লোকেশন ব্যবহার করে ফোনের নোটিফিকেশন, রিংটোন পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দেয়।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.