অদ্ভুতুড়ে 12:31 AM


পৃথিবী জুড়েই মানুষের পাশে চড়ুই পাখির সহঅবস্থান ছিল সব সময়। কিন্তু আশঙ্ক্ষাজনকভাবে কয়েক দশক জুড়ে এর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তাই কিছু পাখি প্রেমিক ২০ মার্চকে চড়ুই দিবস পালনে মোনযোগী হন। কিন্তু লোকবল আর প্রচারণার সীমাবদ্ধতার কারণে তা তেমন সচেতন প্রভাব ফেলতে পারেনি। প্রতিবছরই নীরবে পালন করা হয় এ দিবসটিকে।


জানা গেছে, চড়ুই পাখি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ও এদের বিলুপ্তি রুখতে যৌথ উদ্যোগ নেয় নেচার ফরএভার সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া ও ফ্রান্সের ইকো-সিস অ্যাকশন ফাউন্ডেশন, পাশাপাশি বিশ্বের বেশ কয়েকটি পরিবেশ সংস্থা। এই দিনটির পরিকল্পনা করা হয় নেচার ফরএভার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ দেলওয়ারের কার্যালয়ে। পরবর্তীকালে যা সারাবিশ্বে এটি স্বীকৃতি লাভ করে।

এক সময় ঘরের কোনে, উঠান, বারান্দায় চড়ুই পাখির উপস্থিতি ছিল সরব। সারাক্ষণ কিচির মিচির করে বাড়ি মাতিয়ে রাখতো। কিন্তু এই আধুনিক শহুরে এলাকায় এরকম বাড়ি পাচ্ছে না তারা। শহরে যাও বা ঘরের ভেন্টিলেটারে বাসা বেঁধে থাকতো এখন তাও দেখা মিলে না।

বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে বেশকিছু কারণ দেখিয়েছেন- তার একটি হলো মোবাইল অপারেটরদের টাওয়ার। এগুলো যেখান দিয়ে তরঙ্গ প্রবাহিত করে সেই জায়গাগুলোই চড়ুইদের উড়ার জন্য প্রকৃত উচ্চতা। ফলে তারা বেশির ভাগ সময়ই নিজের মতো করে উড়তে পারে না, পথ হারায়।

ইদানিং আবার জলাধারগুলো ভরাট করে চলছে কল-কারখানা ও ভবন নির্মাণ। ফলে তেষ্টা মেটানোর পানিও তারা পাচ্ছে না। ফসলের জমিও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। পাচ্ছে না প্রয়োজনীয় খাদ্য। এ রকম আরো নানা কারণে মানুষের চির প্রতিবেশী এই পাখিটি চলে যাচ্ছে দূরে। হয়তো কোনো একদিন হারিয়েও যাবে পৃথিবী থেকে। সেদিন হয়তো মানুষের পাশে থাকবে রোবট চড়ুই!

তবে আমরা চাইলেই চড়ুই পাখিকে আমাদের প্রতিবেশী করে রাখতে পারি। সে জন্য বেশিকিছু করার প্রয়োজন নেই। শুধু প্রতিদিন কিছু খাবার এবং ছোট একটি পাত্রে কিছু পানি বারান্দায় রেখে দিলেই হয়। যাতে সেই পানিতে তারা গোসল করে তৃষ্ণাটুকু মেটাতে পারে।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.