অদ্ভুতুড়ে 2:40 AM

জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে ফোনের ব্যাটারি দ্বারা।

smartphone's battery can be dangerous
smartphone's battery can be dangerous
গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির খবর তেমন গোপন কিছু নয়। জিপিএস চিপ অধিকাংশ স্মার্টফোনেই থাকে যার মাধ্যমে স্মার্টফোনকে সহজেই নজরদারির আওতায় রাখা যায়। আমাদের মাঝে যাঁরা নজরদারি এড়াতে চান, তাঁরা জিপিএস ফিচারটি বন্ধ করে রাখেন এটাই স্বাভাবিক তাই না?  কিন্তু জিপিএস ফিচারটি ছাড়াও রয়েছে মোবাইল ফোনে নজরদারি করার অন্য আরেকটি উপায়। সম্প্রতি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোডো-এর এক প্রতিবেদন হতে জানা গেছে যে,  নতুন যে পদ্ধতি হতে নজরদারি করা যায় তা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারির ওপর নজরদারি করা।

সম্প্রতি মোবাইল ফোনের ব্যাটারির মাধ্যমে নজরদারি করার পদ্ধতিটির বিস্তারিত জানিয়েছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসরায়েলের সরকারি সংস্থার গবেষকেরা। এই পদ্ধতিতে স্মার্টফোন ব্যাটারির চার্জে সামান্য হেরফের হওয়ার বিষয়টি হিসাব করে ব্যবহারকারী কোথায় কোথায় যান, সে বিষয়টি ধরা যায়। মোবাইল  ব্যবহারকারীর অবস্থান বের করা যায় ফোনের টাওয়ার থেকে মোবাইল ফোনে পিং পেতে কী ধরনের বাধা আসে, তা নির্ণয় করে । মোবাইল ফোন সাধারণত  তখনই বাড়তি কিছুটা শক্তি খরচ করবে যখন টাওয়ারের অবস্থান দূরে হবে বা কোনো ভবন বা পাহাড়ের কারণে পিং পেতে সমস্যা হবে ।

এক্ষেত্রে  ব্যবহারকারী যদি মোবাইল ফোন নিয়ে কোথায় কোথায় যান সে বিষয়টি কিছুদিন ধরে খেয়াল করা হয় এবং  ব্যবহারকারী রুটিন অনুযায়ী চলাফেরা করে তাহলে  তখন ৯০ শতাংশ নির্ভুলভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে যদি ফোন ব্যবহারকারী রুটিনমাফিক না চলেন, তবে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশে নেমে আসে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, উদ্বেগের কারণ হতে পারে স্মার্টফোনে এভাবে নজরদারির বিষয়টি । কারণ এরুপ নজরদারি এড়ানোর একমাত্র জুতসই পথ কেবলই নিজ ফোনের ব্যাটারি খুলে রাখা যা কেউ পছন্দ করবে না। মোবাইল ফোনের সাধারণ অ্যাপ দিয়েই এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা যায়। গুগলেরও কোনো বাধা নেই এ ধরনের অ্যাপকে ব্যাটারি ব্যবহার-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে ব্যবহার করতে। এরকম কোনো অ্যাপ তৈরি  করে সাইবার দুর্বৃত্তরা চাইলে খুব সহজেই ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি করতে পারে।

আশা করি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.