দিন দিন যে হারে পেট্রোলিয়াম আর প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ পড়ছে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন সেদিন আর খুব একটা দূরে নেই যেদিন একেবারেই ফুরিয়ে যাবে পৃথিবীর এই অসামান্য আর অমূল্য খনিজ সম্ভার। বাংলাদেশের কথা যদি বলা হয় তবে তো সবার মুখে মুখেই বাজছে এই হুঁশিয়ারি বাণী। অনেকের মতে, ২০৫০ সালেই শেষ হয়ে যাবে আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস।
এতসব ঝামেলা থেকে বাঁচতেই তাই উদ্ভাবিত হয়েছিল ব্যাটারিচালিত গাড়ি। কিন্তু এখানেও যে সমস্যা একেবারেই নেই, তা নয়। আর ব্যাটারিচালিত গাড়ির অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো- এর প্রচণ্ড রকমের দাম। আর এসব ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতেই পিউগ্যুট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন পেট্রোলিয়াম আর সংকোচনশীল বাতাসের মিশেলে চলা এই উন্নত প্রযুক্তির গাড়িটি। এতে ব্যবহারকারী ইচ্ছামতো পেট্রোলিয়াম বা বাতাস অথবা এদের দুটোকেই একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রতি ঘণ্টা ৪৩ মাইল বেগে চলতে থাকলে নিজ থেকেই গাড়িটি তার বাতাস থেকে শক্তি তৈরি করার পদ্ধতিটি চালু করে ফেলবে। কেবল এই একটি দিক নয়, বাতাসচালিত গাড়িটির রয়েছে পরিবেশবান্ধব দিকও। যেখানে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে রয়েছে বিষাক্ত কিছু পদার্থ উৎপাদন করে বাতাসকে বিষিয়ে দেওয়ার মতো খারাপ ক্ষমতা, এই গাড়িটি সেদিক থেকে পুরোটাই নিরাপদ। তবে বাতাসচালিত গাড়িটির নেতিবাচক দিকটি হচ্ছে কেবল বাতাস নয়, বাতাসকে সংকুচিত করার যন্ত্রও থাকতে হবে গাড়িটিতে। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু খারাপ দিক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে গাড়িটির, যেটি বর্তমানে তৈরি হওয়ার পথে।
Post a Comment