আমাদের দেশ কে আমরা কত ভাবেই না নিন্দা করি, তবে অন্য অনেক দেশের চেয়ে আমরা অনেক ভাল আছি এবং আমাদের হাতে সুযোগ রয়েছে দেশ আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার। নিচের কয়েকটি দেশ সম্পরকে জানুন।
10) Ivory Coast
Alassone Ouattara, জাতীয় নির্বাচন খুবই কম কিন্তু আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ভোটে Presidential condidate হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। তখন Violence শুরু হয়েছিল।Taurent Abagbo যিনি তখন President ছিলেন, পদত্যাগ করতে অস্বীকৃত জানিয়েছিলেন। যা থেকে এক ধরনের সংঘাত শুরু হয়েছিল এবং ১২০০ লোক মারা গিয়েছিলো। অর্থনীতিও পড়েছিলো শংকার মুখে। Abagboর সর্মথকরা সংঘাতের ইতি টানে। Outtara হচ্ছেন এখন Ivory coast এর President, তাঁকেই এখন এই সমস্যাগুলো দেখতে হবে।
9) Iraq

যখন আমেরিকা ২০০৩ এ ইরাক আক্রমন করলো,কেউ জানতো না তারা ওখানে এতদিন থাকবে। Violence যখন কমে আসলো ৩০ লক্ষ লোক ইরাক ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেল। ২২.৯ শতাংশ লোক দারিদ্রতার নীচে বসবাস করে, সাক্ষরতার হার ৭.৮ শতাংশ এবং ১৭.৫ শতাংশ লোক বেকার। ভয়ের ব্যপার হচ্ছে আমেরিকার সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর ইরাক, ইরানের একটি অংশে পরিনত হবে।
8) Central African Republic

এই দেশটি পৃথিবীর মধ্যে অবাসযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। এখানে CHAD, DRC, সুদানের উদ্বাস্তুরা এসে ছেয়ে গেছে। CAR এক ভয়ানক গৃহযুদ্ধ থেকে উঠে আসার চেষ্টা করছে। এই গৃহযুদ্ধে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। ১০০০০ ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়, শত শত নিরহ লোককে খুন করা হয় এবং ২,১২,০০০ লোককে ঘরছাড়া করা হয়। CAR সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ২০০৮ পর্যন্ত ৪,৪২২,০০০ জনসংখ্যার মধ্যে প্রতি ১০০০ জনে একটি করে গাড়ী আছে। বাকী অংকটি আপনিই কষূন।
7) Afghanistanuntitled

আমেরিকা তালিবানদের কবল থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করার পর থেকে দেশটি আরো বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন হয়। Hamid karzai যিনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা দেশটি চালাচ্ছেন এবং ধারনা করা হয়, এমন একটি দরিদ্র নিপীড়িত দেশ চালাতে তিনি অদক্ষ। নারী নির্যাতন এখানে খুবই সাধারন ব্যপার এবং শিশু মৃত্যুর দিক দিয়ে আফগনিস্তান পৃথিবীতে ৮ম। আমেরিকা তাদের সৈন্য ফেরত নিয়ে গেলেই তালিবানরা এসে আবার দেশটি দখল করে ফেলবে। দেশটির গড় আয়ু ৪৪ বছর।এই দেশে উন্নতির অবস্থা বেশ ক্ষীন।
6)Zimbabwe

এই সাউথ আফ্রিকান দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে গরীব দেশগুলোর মধ্যে একটি আর তাই এইদেশের গড় আয়ুও কম। এই দেশের বর্তমান সরকারের টিকে থাকর পিছনে শুধুমাত্র ভয় কাজ করছে আর এদেশে হিংস্রতাও খুব সাধারন ব্যপার। HIV AIDS এই দেশে ভয়াবহ রকমভাবে বিরাজ করে আর বছরে ১,৩০০,০০০ প্রান হানি ঘটায়। যখন জিম্বাবুয়ের স্বৈরশাসক Robert Matabe বিলাসিতায় থাকেন তখন হাজার হাজার লোক না খেয়ে থাকে। এটা বলতেই হবে জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে খারাপ একনায়কতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে।
5) Haiti

হাইতিতে ঘটে যাওয়া ২০১০ সালের ভূমিকম্পের সম্পর্কে সবাই শুনে থাকবেন। ঐ ভূমিকম্পে হাজার হাজার লোক মারা যায়। যার মধ্যে ২০% সরকারি কর্মর্কতা ছিলো। আমেরিকা সহ অন্যান্য আর্ন্তজাতিক দেশগুলো লোকের সাহায্য আসতে কিছুটা দেরী হয়ে যায়। শত শত লোক ঘরছাড়া হয়ে যায়, অনেকে পালিয়ে যায়। ভূমিকম্পের আগে থেকেই হাইতি একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিলেবে পরিচিত হলেও এই দুর্যোগটি হাইতিকে আরো অন্ধকরে ঠেলে দেয়।
4) Democotic Republic of the congo

এই দেশটির প্রধান সমস্যা ধর্ষন। প্রতি ঘন্টায় ৪৮ জন মহিলাকে ধর্ষন করা হয় এবং উত্তরদিকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গ্রাম বাসীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখে। সম্পদের দিক দিয়ে কঙ্গোঁ পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ হতে পারতো। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি খুবই দরিদ্র এবং সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি। প্রায় সময় পুলিশ মানবধিকার কর্মীদের খুন করে। এদেশে কারো প্রানের নিরাপত্তা নেই। কঙ্গোঁ বসবাসের সবচাইতে খারাপ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
3) Sudan

আফ্রিকায় বর্তমানে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র হচ্ছে সুদান। কিন্তু তাদের এক গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিন সুদান আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার কারণে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আলজেরিয়া আফ্রিকার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রে পরিনত হবে। সবচেয়ে বদ স্বৈরশাসকদের একজন ওমার আল বশীর সুদানের শাসক, যিনি ক্রীতদাস রাখতে পছন্দ করেন। দুই সুদানের মধ্যে তৈল পদার্থ বিশিষ্ট জায়গা Abeyi কে নিয়ে যুদ্ধ হয়। দক্ষিন সুদানের জন্য অবস্থা অসুবিধেজনক কারন এর জনসংখ্যা মাত্র ২৩ লক্ষ এবং এটিও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
2) Chad

Idriss Dely হচ্ছেন Chad এর স্বৈরশাসক এবং যার শাসনকাল ২০১৬ তে ২৫ বছরে পা দিবে। শুধুমাত্র ২৩% লোক বিশুদ্ধ পানি পায় এবং তৈল পদার্থ খুঁজে পাওয়ার পরেও এদের কোন উন্নতি হয় নি। গড় আয়ূ ৪৯ বছর এবং HIV AIDS এখানেও মহামারী আকার ধারন করেছে।
1) Somalia

আপনার কাকে ১নং মনে হয়েছিল? সোমালিয়া নৈরাজ্যবাদের সবচেয়ে কাছাকাছি জীবন্ত উদাহারণ। সোমালিয়া অনেকগুলো জঙ্গী গোষ্ঠীর ঘাঁটি এবং আল-কায়দা এখানে নিজের একটি ঠাঁই করে নিয়েছে। সরকারের দখলে খুব অল্প জায়গা আছে এবং সরকার শুধুমাত্র রাজধানী নিয়ন্ত্রনের জন্য যুদ্ধ করছে। ১ কোটির মধ্যে ১৩ লক্ষ লোকের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। সোমালিয়া এত খারাপ অবস্থায় আছে সে এটাকে গণতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্র বলা যাবে না। এমনকি এদুটোর মাঝখানেও কিছু বলা যাবে না।
Post a Comment