৮১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী স্বল্পমূল্যে অধিক দ্রুতসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা (Fast Internet service) চান।
![]() |
| Fast Internet service |
সম্প্রতি এক জরিপে জানা গেছে যে, দেশে ৮১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষ কম মূল্যে অধিক গতি সম্পন্ন ইন্টারন্ট সেবা চান তারা। এমন কি বর্তমানের ইন্টারনেটের গতি ও মূল্যের ব্যাপারে সন্তুষ্ট নন এই ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার মেলায় আসা ৯০০ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর উপর বাংলাদেশ আইসিটি জারনালিস্ট ফোরাম (বিয়াইজেএফ) দ্বারা পরিচালিত 'কেমন ইন্টারনেট চাই" শীর্ষক এক জরিপে তা জানা যায়।
এই মেলার শেষ দিনে বিআইজেএফ ও এক্সপো মেকার দ্বারা আয়োজিত এক সংলাপে যার নাম 'কেমন ইন্টারনেট চাই' এতে ইন্টারনেট বিষয়ক এক জরিপে এই তথ্যটি উপস্থাপন করা হয়। তরিক রহমান যিনি বিআইজেএফ-এর সহসভাপতি তিনি জানান যে, ' দেশে ইন্টারনেটবান্ধব পরিবেশ রয়েছে এমন মত দিয়েছেন সিংহভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী'।
তবে ইন্টারনেট সেবা শিশুবান্ধব নয় বলে মনে করেন দেশের ৯১ শতাংশ অভিভাবক। এই জরিপে আরো উঠে এসেছে যে শিশুদের জন্য প্রয়োজন আরো ওয়েবসাইট তৈরী এমন কি এদের মাঝে ৮০ শতাংশ মনে করেন যে ইন্টারনেটে বাংলা বিষয়বস্তু বাড়াতে সরকারি উদ্যাগ অধিক হারে প্রয়োজন।
এই সংলাপ অনুষ্ঠানে কয়েকটি মূল্যবান বক্তব্য নিম্নে দেয়া হলোঃ-
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ বলেছেন যে, "ডিজিটাল বাংলাদেশে সুলভ মূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সবার অধিকার। বিষয়টিতে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার বারবার ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমানোর কথা বললেও এর সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সেই অনুযায়ী দাম কমায়নি। তিনি আরও জানান, সরকার সাড়ে পাঁচ বছরে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় তিন হাজার ৩৭২টি কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করেছে।"
অন্যদিকে ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন যে, "ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়নি, এ বিষয়টি ঠিক নয়। ইন্টারনেটের দাম সরকারের সঙ্গে আইএসপিএবির সদস্যপ্রতিষ্ঠানগুলোও কমিয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।"
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব স্ট্র্যাটেজি এরল্যান্ড প্রেস্টগার্ড বলেন যে, " গ্রামীণফোন ‘সবার জন্য ইন্টারনেট’ নিয়ে কাজ করছে। সারা দেশে কম মূল্যে ও সহজে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরকার প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা, যেকোনো ব্র্যান্ডে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সুযোগ।"
সর্বশেষ সংলাপে বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহাসহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন বিআইজেএফের সভাপতি মুহম্মদ খান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
এখন দেখার বিষয় তাদের কথার সাথে কাজে মিল পাওয়া যায় কিনা যদি যায় তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি ভালো সংবাদ হতে পারে বলা আশা করি।

Post a Comment