ব্র্যাক ব্যাংক বর্জনের আহ্বান জানিয়ে অনলাইন প্রফেশনালদের কর্মসূচী চলছে । গ্রাহকদের অনলাইনে অর্থ লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া এবং সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদেই এই বয়কট কর্মসূচী । এই মাসের ৮ তারিখ থেকেই ফেসবুকে এক ইভেন্টের মাধ্যমে সুরু হয়েছে এই প্রচারনা ও বিভিন্ন কর্মসূচী । ইভেন্টের নাম দেয়া হয়েছে "অনলাইন প্রফেশনালদের একযোগে ব্র্যাক ব্যাংক বয়কট কর্মসূচী "
এই ইভেন্টের বিবরনে বলা হয়ঃ

"30 তারিখের পর থেকে অনলাইনে শুধু ব্যালেন্স দেখা যাবে , অনলাইনে লেনদেন করা যাবেনা !!!! তাই আমরা অনলাইন প্রফেশনালরা একযোগে ব্র্যাক ব্যাংক বয়কট করবো ও অন্য আরেকটি ব্যাংক সবাই মিলে বেছে নিবো যাতে একে অপরের সাথে লেনদেন অবাধে করা যায় ।
"নিরাপত্তা দেবার ইচ্ছা থাকলে এত কিছু লাগেনা , ইসলামী ব্যাংকে অনলাইন ব্যাংকিং পরিচালনা করার জন্য এটিএম কার্ডের মত আলাদা পিন দেয় অন্যদিকে DBBL হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ফ্রি দিচ্ছে । সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাওয়া যায় । শুধু কি টাকা কামানোর লক্ষ্যে এই ডিভাইস ও সফটওয়্যার ?
আর এই ব্যাংকে থাকা সম্ভব না , কারন বাৎসরিক কার্ড চার্জ ৬৯০ টাকা +সার্ভিস চার্জ ৩৪৫ টাকা+ এস এম এস চার্জ ২৩০ টাকা + হার্ডওয়্যার ১১৫০ টাকা + সফটওয়্যার ১৭২ টাকা।
>>> আমাদের মত গরীবের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব না । ব্র্যাক ব্যাংক এর ৩০% এর বেশি শেয়ার এর মালিক ব্র্যাক । যদিও ব্র্যাক ব্যাংক আমাদের কথা গায়ে লাগাচ্ছে না কিন্তু ব্র্যাক এর পেজ এ দেয়া আমাদের রিভিউ তাদের গায়ে লাগছে । কারন ব্র্যাক একটা আন্তর্জাতিক সংগঠন ।
সুতরাং সবাই এই ওদের পেইজে এ চলে যান এবং এক স্টার রিভিউ দিয়ে ব্র্যাক ব্যাঙ্কের কুকীর্তির কথা লিখে দিয়ে আসেন । "
জানা গেছে, অনলাইন প্রফেশনাল দের এই আন্দোলনে ব্যাপক চাপে পরেছে ব্রাক এবং ব্র্যাক ব্যাংক । একের পর এক বাজে রিভিউ দেয়া হচ্ছে ব্র্যাকের অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেইজে । এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রাকের ৩৪৫ টা রিভিউয়ের মধ্যে স্টার অ্যাভারেজ এখন মাত্র ১.৯ ! একটা রিভিউয়ে সামিউল ইসলাম বলেছেন, Cheater cheater cheater. Please stop this otherwise you can loose your customer.
আরিফুল ইসলাম শাওনের রিভিউটা ছিল এমনঃ 1 starStupid cheater bank ever. Everybody should leave this kinda bloodsucker bank!
অন্যদিকে, ইভেন্ট ওয়ালেও আসছে হাজারো মন্তব্য । এদের মদ্ধে, দিপ্ত প্রজেক্তের প্রতিষ্ঠাতা জামিল হোসেন সেজান বলেছেন, "Brac Bank অনেকটা গ্রামীনফোনের মত হবার চেষ্টা করতেছে,কিন্তু গ্রামীনফোনের মত অত চালাক হওয়া অনেক কষ্টকর হবে ।"
ফেরদৌস হুসেইন বলেন, সিকিউরিটি দেওয়ার দায়ীত্ব ব্যাংকের তার জন্যে গ্রাহক কেন চার্জ দিবে পৃথিবির কোথাও এটা আছে কিনা আমার জানা নাই ।
কর্মসূচি আয়োজকদের ভাষ্য, “আর এই ব্যাংকে থাকা সম্ভব না, কারণ বাৎসরিক কার্ড চার্জ ৬৯০ টাকা +সার্ভিস চার্জ ৩৪৫ টাকা+ এস এম এস চার্জ ২৩০ টাকা + হার্ডওয়্যার ১১৫০ টাকা + সফটওয়্যার ১৭২ টাকা। আমাদের মতো গরিবের পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব না।” এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত প্রায় দের হাজার বিক্ষুব্ধ ফেসবুক ব্যবহারকারী গুলশানে ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে অনুষ্ঠেয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সম্মতি জানিয়েছেন।
projuktee.com প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Post a Comment