অদ্ভুতুড়ে 7:34 AM


প্রযুক্তি বিশ্বে রোবট নিয়ে গবেষণার অন্ত নেই৷ এই যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্থাপনের কাজেও অনেকটা এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পশ্চিমা বিশ্ব রোবট নিয়ে গবেষণায় অনেক এগিয়েছে৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশও অবদান রাখার চেষ্টা করছে।


 ২০১৩ সালে বাংলাদেশ রোবট তৈরি করে সাড়া জাগায়। আর এই অবদান রাখে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী। সাদলী সালাহউদ্দিন ও সৌমিন ইসলামের এই রোবটকে বাংলায় ‘ডানে যেতে’ বললে সেটি ডানে যেতে পারে। বাংলা ভাষা বোঝা এই রোবট দেখতে ছোট হলেও এটির কাজের ক্ষেত্র হতে পারে অনেক। এমনকি হাজার হাজার মাইল দূর থেকেও এটিকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
মাত্র তিন হাজার টাকায় বাংলা জানা এই রোবট তৈরি সম্ভব বলে জানান সাদলী। তাঁরা চান, বিনোদন নয় বরং মানব কল্যাণে এই রোবট ব্যবহার করতে৷ বিশেষ করে হুইল চেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন রোবট।
বাংলা বলা রোবটেই সীমিত নেই বাংলাদেশের রোবট গবেষণা। চলতি বছরের শুরুতে বাংলার আকাশে সফলভাবে মনুষ্যবিহীন ড্রোন উড়াতে সক্ষম হন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) চার শিক্ষার্থী। তিন ফুট লম্বা এই বিমান তৈরি করেছেন সৈয়দ রেজওয়ানুল হক, রবি কর্মকার, মারুফ হোসেন ও সৈয়দ উমর ফারুক। তাঁদের সহায়তা করেছেন সাস্টের অনেক শিক্ষার্থী।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সাস্টের ড্রোন আকাশে ওড়ার পর এ ব্যাপারে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR)। বিবৃতিতে ড্রোন উড্ডয়নে বিধিবিধান মানার অনুরোধ জানানো হয়৷ ড্রোনের সঙ্গে বেসামরিক বা সামরিক বিমানের ধাক্কা লাগার শঙ্কা তাদের!
শুধু আকাশ নয়, পানির নীচে চলাচল উপযোগী রোবট নিয়েও গবেষণা হচ্ছে বাংলাদেশে। অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (IEUB) চার শিক্ষার্থীর তৈরি করেছেন রোবট সাবমেরিন। এই রোবট ব্যবহার করে সমুদ্রের গভীরে অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।
রোবট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও হাজির হচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের শুরুতে ভারতের বাণিজ্য নগর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবটিক্স চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ‘রানার আপ’ হয় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি প্রকল্প৷ আর গত বছর নাসার লুনাবোটিকস মাইনিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া পঞ্চাশটি দেশের মধ্যে ছিল বাংলাদেশও। এভাবে রোবট গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। পরিধি সীমিতি হলেও উদ্যোগ ক্রমশ বাড়ছে।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.