
এবার আপনার জুতো আপনাকে নিয়ে উড়াল দিবে নেটওয়ার্কের জগতে! খোকা বাবু যায় লাল জুতো পায়। এই লাল জুতো পরলে শুধু বড় দিদিরাই নন জুতো রহস্য জানতে পারলে চেয়ে থাকবেন আট থেকে আশি সবাই। এই বিস্ময়কর জুতোর নাম লেচাল। জুতোটি যে শুধু আপনার পা'কে রাস্তার ধুলো-বালি থেকে রক্ষা করবে তাহাই নয়। স্টাইল তো আছেই সঙ্গে রয়েছে স্মার্ট ফোন অ্যাপ্লিকেশন। নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে হলে ডাইনে যাবেন না বাঁইয়ে তাও বলবে এই জুতো। আবার হেঁটে কতটা ক্যালোরি খোয়ালেন তারও হিসেব দেবে জুতো। ব্লু টুথের সাহায্যে আপনার মোবাইল ফেনের মাধ্যমেই জুতো দেবে এই সব যাবতীয় তথ্য। দাম মাত্র সাত থেকে সাড়ে সাত হাজারের মধ্যে। এখুনি এই জুতোর অর্ডার দিতে পারেন আপনিও।

ভাবছেন এ কী বিস্ময়কর জুতা আবিষ্কার। অবাক হওয়ারই কথা। এই দুই অল্পবয়সী ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরেই এমন বিস্ময়কর জুতো আসছে বাজার কাঁপাতে। এঁদের মধ্যে একজন ইঞ্জিনিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অনিরুদ্ধ শর্মা (২৮) এবং ক্রিসপিয়ন লওরেন্স (৩০) ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পরই তাঁদের মাথায় আসে এই ধারনা। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ২০১১ সালে তাঁরা এই আশ্চর্য জুতো তৈরি করতে বসলেন। প্রথমে তাঁরা দুই'জনে মিলেই শুরু করেছিলেন গবেষণাটি। কিন্তু দিন দিন তাঁদের ভাবনার প্রসার ঘটতে থাকে। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন দৃষ্টিশক্তি কম মানুষের জন্যই কেবল তৈরি করবেন এই জুতো। তারপর দেখলেন না। সকলের কাজেই এই জুতো পৌঁছে দেবেন। তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগল অ্যাপ্লিকেশনও। তাই সহযোগী হিসাবে নিয়ে নিলেন আরও কয়েকজনকে। এখন এই জুতো তৈরির জন্য রয়েছে ৫০ জন সদস্যের একটি টিম।
এই সাংবাদিক সংস্হাকে অবাক জুতোর কাহিনী জাননোর পরই তা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আগাম জুতো বুকিং করে ফেলেছেন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। প্রায় ১০০ জোড়া জুতো তৈরি হচ্ছে চিনে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই জুতো তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে বলেই আশা করছেন দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। দুই জনেই তাঁরা হেসে বলেন, আমরা সকলেই অনেক সময় বাসা থেকে বেরোনোর সময় নিজের মোবাইল নিতে ভুলে যায়। কিন্তু এই আশ্বর্য জুতো দোসর মোবাইল ফোনকে ছেড়ে এগোবে না এক পাও।
Post a Comment