অদ্ভুতুড়ে 11:01 AM
google Adsence, গুগল অ্যাডসেন্স
গুগল অ্যাডসেন্সের জরিমানা ৪৬ হাজার ডলার, পথে বসলো তরুন উদ্যোগতা !

মেসটেক্সটোস নামে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ছিলেন সামি । এবং এর মাধ্যমে ইউজার বা ব্যবহারকারিরা বিনামূল্যে মেসেজ পাঠাতে পারতো । মোবাইলের ডেটা চার্জ থেকে বাঁচতেই এই ওয়েবসাইট ডেভেলপ করেছিলেন সামি । মধ্যপ্রাচ্যে এবং ইউরোপ মেসেজ আদান প্রদানের ক্ষেত্রে এসব বিকল্প ব্যবস্থা ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ।
এই বছরের শুরুতেই ওয়েবসাইটটি বেশ জনপ্রিয় হতে থাকে ।  ওয়েবসাইটটিতে গুগলের অ্যাডসেন্সের অ্যাড বা বিজ্ঞাপন ব্যবহার করতেন ওই তরুন । এবং আর মাধ্যমেই ওয়েবসাইট পাবলিশারদের সার্চ অ্যাড দেখানো হত।  ২০১৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ইদ্রিস সামির বানানো ওয়েবসাইটটি এতো বেশি জনপ্রিয় হয়ে যায় যে তার অ্যাকাউন্টে ৪৬ হাজার ডলার জমা হয়। গুগলেন নিয়ম, আপনি যদি অ্যাডসেন্স পার্টনার হন তবে গুগল ঠিক যেভাবে চায় সেভাবেই আপনার সাইটে অ্যাড চালাতে হবে। নয়তো জরিমানা করবে গুগল। আর সেই জরিমানা করেও বসলো তারা।
খুব শিগগিরই সামির অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয় এবং তার সব টাকা নিয়ে নেয় গুগল। পুরো উপার্জন ৪৬ হাজার ডলার হারিয়ে হতবাক ওই তরুন । যদিও গুগলে এমন অনেক পাবলিশার মাস শেষে সামান্য অর্থ উপার্জন করেন এবং সেখান থেকে গুগল যা কেটে নেয় তা নিয়ে তাদের অনেক অভিযোগ শোনা যায় । কিন্তু কারো আয় করা এই বড় অঙ্কের অর্থ পুরোটা কেটে নেওয়া চরম এক শাস্তির নামান্তর।
গুগলের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে এবং কোনরকম নোটিশ ছাড়াই গুগলের এই জরিমানা কেটে নেওয়ার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে আমেরিকায় সহ সারা বিশ্বে । কিন্তু সামির বিষয়টি আরেকটু জটিল। গুগলের নিয়ম ফ্রান্সের থেকে ভিন্ন ইংল্যান্ডে। সামি তার ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করার সময়ও গুগল তাকে চিঠি দেয় রেভিনিউ বাড়ানোর জন্য। তারা সামির কাজ নিয়ে বেশ প্রশংসাও করে। কিন্তু এর পরে যতো ঝামেলা। অথচ গুগলের অ্যাডসেন্স বিষয়ে এসব নিয়মকানুনসহ সমন্বয়ের কোনো ব্যবস্থা করা নেই।
নিয়ম ভাঙ্গার অভিযোগে উনিস বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ-মরোক্কানতরুণকে ৪৬ হাজার ডলার জরিমানা করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল । ইদ্রিস সামি নামক ওই তরুণের বিরুদ্ধে গুগলের অভিযোগ, তিনি অ্যাডসেন্স অ্যাডভার্টাইজিং সিস্টেমের মাধ্যমে তার বানানো ওয়েবসাইট চালানোর ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙেছেন ।

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.