অদ্ভুতুড়ে 11:37 PM
পৃথিবী তে HIV Virus Or Aids রোগ এক মহামারি আকার ধারন করেছে পৃথিবীতে প্রতিটি দেশে এই রোগ সকল মানুষের জীবনের জন্য বড় হুমকি মানুষ এ রোগ থেকে পরিত্রান এর কোন পথ ই খুজে পাচ্ছে না তাই এ সকল অসহায় জীবন কে বাচানোর জন্য এ রোগ থেকে মুক্তির একটি পথ আবিষ্কার হয়েছে  এইচআইভি-১- লুকিয়ে বাসা বেঁধে থাকা এই ভাইরাসকে জিনোম থেকে আলাদা করার পথের খোঁজ পাওয়া গেছে ৷ ঠিক কম্পিউটার থেকে ফাইল ডিলিটের মতোই৷ একটি গবেষণাপত্রে এমন দাবি করেছেন টেম্পল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের একদল বিজ্ঞানী৷ বৈজ্ঞানিক ভাষায় নাম 'সিআরআইএস/ক্যাস-৯ জিনোম এডিটিং সিস্টেম'৷ নতুন এই আবিষ্কারটির বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিন ধরে চলা এইডস গবেষণায় যুগান্তকারী সাফল্য আসবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷ বিশ্বের প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ এইচআইভি আক্রান্ত মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।
এইচ আইভি ভাইরাস কে কি মানব দেহ থেকে ধ্বংস করতে পারবে চিকিত্‍সারা ???স্বপ্ন দেখছেন নাকি বিজ্ঞানীরা??

হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস একবার মানবকোষে একবার ঢুকে পড়তে পারলে আর বেরোয় না৷ ঘাঁটি বেধে বসে৷ আক্রান্তের ডিএনএ'তে ঢুকিয়ে দেয় এর মরণ জিনোম৷ ফলে বাকি জীবনটা ওষুধ আর হাজারো চিকিত্‍সার উপর ভরসা করেই কাটাতে হয় আক্রান্তকে৷ এই নতুন আবিষ্কার সেই দুঃস্বপ্ন-এর হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে মানুষকে৷ আবিষ্কার বলছে, মানবকোষ থেকে সুপ্ত এইচআইভি-১ ভাইরাস 'ডিলিট' করার চেষ্টা এই প্রথম সাফল্য পেয়েছে, যা ঘুমিয়ে থাকা সংক্রমণ সারানোরও পথ দেখিয়েছে৷ টেম্পলের নিউরোসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষকদলের প্রধান কামেল খলিলি বলেন, 'এইডস পুরোপুরি সারিয়ে তোলার পথে এটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ৷' অবশ্য একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটা ফাটাফাটি আবিষ্কার ঠিকই, কিন্ত্ত ক্লিনিক পর্যন্ত একে পৌঁছে দিতে এখনও দেরি আছে৷ তাঁর কথায়, 'বলা যেতে পারে, আমাদের ভাবনার প্রমাণ পেয়েছি৷ যার অর্থ, আমরা ঠিক পথেই যচ্ছি৷'

এইচআইভি-র সঙ্গে লড়াইয়ে গত ১৫ বছরে মানুষের হাতিয়ার 'হাইলি অ্যাকটিভ অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি'৷ এই থেরাপিই এইচআইভি-১ ভাইরাসের বাড়াবাড়ি ঠেকিয়ে রেখেছে ৷ কিন্ত্ত চিকিত্‍সায় ছেদ পড়লেই ফোঁস করে উঠেছে ভাইরাস৷ এইচআইভি-১-এর সংখ্যায় বেড়ে যাওয়াও (রেপ্লিকেশন) ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে থেরাপি৷ কিন্ত্ত ভাইরাসের উপস্থিতি স্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে৷ খলিলির কথায়, 'ভাইরাস কম সংখ্যায় বাড়লেও (লো লেভেল রেপ্লিকেশন) আক্রান্তর শরীরে এমন সব রোগ বাসা বাঁধে, যেগুলো সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়৷' এ সবের মধ্যে রয়েছে কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা হূদপেশিরদৌর্বল্য, হাড়ের অসুখ, কিডনির অসুখ ও স্নায়ুর রোগ৷ ভাইরাসকে বশে রাখতে যে সব ড্রাগ শরীরে ঢোকানো হয়, অনেক সময় তা এই রোগগুলিকেই আরও আক্রমণাত্মক করে তোলে৷ সব মিলিয়ে রোগীর পক্ষে আরও যন্ত্রণাদায়ক,এক দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া৷ সুবিশাল খরচের ব্যাপারও বটে৷

তাই বিজ্ঞানীরা সেই পথ খুঁজেছেন, যে পথে এগোলে এইচআইভি ভাইরাসকে একেবারে ঠেঙিয়ে মানবকোষ থেকে বিদায় করা যাবে৷ খলিলি ও তাঁর সহকর্মীরা ল্যাবে দিনের পর দিনের গবেষণার সেই পথের সন্ধানও পেয়েছেন অবশেষে৷ গবেষকরা ২০-নিউক্লিওটাইডের গাইড আরএনএ'কে পাঠিয়েছেন এইচআইভি-১ ডিএনএ লক্ষ্য করে আক্রমণ করতে৷ আরএনএ'কে শক্তিশালী করা হয়েছে তার সঙ্গে ডিএনএ-পৃথকীকরণ উত্‍সেচক সিএএস-৯'কে জুড়ে দিয়ে৷ এই গাইড আরএনএ মূলত আক্রমণ শানায় জিনের কন্ট্রোল রিজিয়নে, যার পোশাকি নাম 'লং টার্মিনাল রিপিট' (এলটিআর)৷ যা এইচআইভি-১ জিনোমের দু'দিকেই থাকে৷ এদের টার্গেট করে ক্যাস-৯ নিউক্লিয়েজ, এইচআইভি-১ জিনোমের অন্যতম উপকরণ ৯,৭০৯-নিউক্লিওটাইডকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে আসে৷ 
এইচ আইভি ভাইরাস কে কি মানব দেহ থেকে ধ্বংস করতে পারবে চিকিত্‍সারা ???স্বপ্ন দেখছেন নাকি বিজ্ঞানীরা??
মানব দেহে এইচ আইভি ভাইরাস আক্রমন প্রক্রিয়া
এইচআইভি-১ যে সমস্ত কোষে ঘাঁটি বাঁধে, সেই মাইক্রোগ্লিয়া, মাইক্রোফাজ, টি-লিম্ফোসাইটে এই পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ খলিলি বলেন, 'টি-সেল ও মনোসাইটিক সেলই মূলত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়৷ তাই এরাই এই প্রযুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য টার্গেট৷'তবে এখনি সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না বিজ্ঞানীরা৷ অনেকগুলি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। যেমন প্রত্যেকটি আক্রান্ত কোষকে আক্রমণ করার মতো প্রক্রিয়া তৈরি করতে হবে৷ তার থেকেও বড় কথা, এইচআইভি-১ যেহেতু মিউটেশন-পন্থী, তাই এক-এক আক্রান্তের জন্য এক-এক রকম চিকিত্‍সা প্রয়োজন হতে পারে৷ খলিলের কথায়, 'আক্রান্তের শরীর থেকে প্রতিটি এইচআইভি-১ কপিই আমরা বের করে দিতে চাইছি৷ এই প্রযুক্তি এইডস সারিয়ে দেবে৷ আমার মনে হয়, সেই পথেই এগোচ্ছি আমরা৷এইচআইভি আক্রান্ত মানুষেরা নতুন দিনের অপেক্ষায় তাকিয়ে৷ ৷

Post a Comment

'; (function() { var dsq = document.createElement('script'); dsq.type = 'text/javascript'; dsq.async = true; dsq.src = '//' + disqus_shortname + '.disqus.com/embed.js'; (document.getElementsByTagName('head')[0] || document.getElementsByTagName('body')[0]).appendChild(dsq); })();
Powered by Blogger.